অরুণ রায়কে শেষ বিদায় দেবের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োয় শববাহী গাড়ি তখনও দাঁড়িয়ে। চোখমুখ লাল। ফুঁপিয়ে কাঁদছেন দেব। পাশে দাঁড়িয়ে রুক্মিণী মৈত্র। তিনিও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এ ভাবেই তাঁরা চোখের জলে শেষ বিদায় জানালেন সদ্যপ্রয়াত পরিচালক অরুণ রায়কে। মাত্র ৫৩-য় তাঁর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না বাংলা বিনোদন দুনিয়ার কেউই। অরুণই ‘হীরালাল সেন’, ‘৮/১২ বিনয় বাদল দীনেশ’-এর মতো ভিন্ন ভাবনার ছবি বানিয়েছিলেন। তাঁর পরিচালিত ‘চোলাই’ সবচেয়ে চর্চিত ছবি। খবর, তৎকালীন সমাজের অনেক জ্বলন্ত সমস্যা তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন এই ছবিতে।
দেবের সঙ্গে অরুণ রায়ের সখ্য ‘বাঘা যতীন’ ছবির সময় থেকে। এই ছবিতে দেব প্রথম বিপ্লবীর চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই সময় অরুণ জানিয়েছিলেন, বিষয়টি শুনেই লাফিয়ে উঠেছিলেন দেব। এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। ছবি বানানোর সময় খরচ করতেও কার্পণ্য করেননি। একই ভাবে চরিত্রের জন্য পরিচালকের নির্দেশ মেনে প্রচুর পরিশ্রম করেছিলেন দেব। তখন থেকেই উভয়ের হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। একই ভাবে রুক্মিণীর সঙ্গেও। যদিও ছবিতে অভিনেত্রী অভিনয় করেননি। এ দিন দেব-রুক্মিণীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছবির নায়িকা সৃজা দত্তও। স্বভাবিক ভাবেই তাঁরও চোখে জল।
টলিপাড়ার খবর অনুযায়ী, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পরিচালকের শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন দুই তারকা অভিনেতা। শববাহী গাড়িতে চেপেই সেখানে যান তাঁরা। গাড়ির ভিতরে অন্তিমশয্যায় শুয়ে সদ্যপ্রয়াত অরুণ। ইহলোকের সমস্ত যন্ত্রণা ইহজগতে ফেলে রেখে যেন নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে! চোখ মুছতে মুছতে শেষ বারের মতো তাঁর সামনে দাঁড়ান আবার, উভয়েই। কিছু ক্ষণ পরেই পঞ্চভূতে বিলীন পরিচালক।