(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কার বিয়েতে পরিণীতি। নিজের বিয়েতে পরিণীতি চোপড়া (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১৩ মে দিল্লির কপূরথলা হাউসে একে অপরকে আংটি পরিয়েছিলেন আম আদমি পার্টি তথা আপ সাংসদ রাঘব চড্ডা ও বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। তার মাস চারেক পরে রবিবার রাজস্থানের উদয়পুরে লেক পিচোলার ধারে সাত পাক ঘুরেছেন যুগল। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিয়ের নানা অনুষ্ঠান। শনি ও রবিবার সারা দিন সমাজমাধ্যমের পাতায় দেখা গিয়েছে সেই সব অনুষ্ঠানের ঝলক। সোমবার সকালে নিজেদের বিয়ের বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিলেন নবদম্পতি। প্রথম ডেটে যাওয়ার পর থেকে নাকি এই দিনের জন্যই অপেক্ষা করেছিলেন তাঁরা, সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন পরিণীতি। অথচ জীবনের নতুন অধ্যায়ের শুরুর দিনেই পাশে রইলেন না তাঁর প্রিয় ‘মিমি দিদি’ অর্থাৎ প্রিয়ঙ্কা।
মে মাসে রাঘব ও পরিণীতির বাগ্দানের অনুষ্ঠানের জন্য আমেরিকা থেকে রাজধানীতে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। নিয়ন সবুজ রঙের শাড়িতে সেজেছিলেন তারকা। প্রিয়ঙ্কার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বিয়ের জন্য রাজস্থানকে বেছে নিয়েছিলেন পরিণীতি। অথচ সেই বিয়েতেই এলেন না প্রিয়ঙ্কা! গত সপ্তাহের প্রথম দিক থেকে রাঘব ও পরিণীতির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হওয়ার সময় কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, গোটা সপ্তাহ থাকতে না পারলেও বোনের বিয়ের আগের দিন সোজা উদয়পুরে গিয়ে উপস্থিত হবেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু, তা হয়নি। পরিণীতির বিয়ের মাত্র এক দিন আগে সমাজমাধ্যমের পাতায় তাঁকে বিয়ের শুভকামনা জানান প্রিয়ঙ্কা। তখন থেকে জল্পনা শুরু হয় পরিণীতির বিয়েতে প্রিয়ঙ্কার উপস্থিতি থাকবে কি না, তা নিয়ে। তার পরেও আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনুরাগীরা। তবে সব জল্পনায় জল ঢেলে বোনের বিয়েতে এলেনই না প্রিয়ঙ্কা। অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়ার দাবি, কাজের ব্যস্ততার কারণে নাকি বোনের বিয়েতে আসতে পারেননি তিনি। অথচ প্রিয়ঙ্কার সমাজমাধ্যমের পাতায় দেখা যাচ্ছে, মেয়ে মালতী মেরিকে নিয়ে খেলা করতে ব্যস্ত তিনি। তা দেখেই আরও চটেছে নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘নিজের বোনের বিয়ে হলে এমন কাজ করতে পারতেন?’’ সমালোচনার উত্তর না দিলেও পরিণীতি ও রাঘবকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় ছবি পোস্ট করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
২০১৮ সালে রাজস্থানের জোধপুরের উমেদ ভবনে পপ তারকা নিক জোনাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন প্রিয়ঙ্কা। বিয়ের মূল অনুষ্ঠানে তো বটেই, বিয়ের আগের নানা অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন পরিণীতি। কাজ থেকে ছুটি নিয়ে সেই সময় প্রতি দিন প্রিয়ঙ্কার পাশে ছিলেন অভিনেত্রী। অথচ নিজের বিয়েতেই দিদিকে পাশে পেলেন না তিনি। এর পরে পরিণীতির মান ভাঙাতে পারবেন তো প্রিয়ঙ্কা? প্রশ্ন অনেক নেটাগরিকের।