প্রভুদেবা। —ফাইল চিত্র
আবার বাবা হলেন প্রভুদেবা। ২০২০ সালে যখন তিনি হিমানিকে বিয়ে করেন, অনুরাগীরা অবাক হয়েছিলেন। নৃত্য পরিকল্পক, অভিনেতা, পরিচালকের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল সেটি। এ বার হিমানির সন্তানের বাবা হয়েছেন প্রভুদেবা। আগের পক্ষের বিয়েতে এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁর।
বাবা হওয়ার খবরে সিলমোহর দিলেন প্রভুদেবা নিজেই। বললেন, “খবরটা সত্যি। পঞ্চাশ বছর বয়সে আবার আমি বাবা হলাম। নিজেকে পূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। ভীষণ ভীষণ খুশি আমি।”
পুত্রের পর এ বার কন্যাসন্তানের পিতা হয়েছেন তিনি। অভিনেতা চাইছেন, এই মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গেই বেশি সময় কাটাতে। একরত্তি কন্যাকে স্পর্শ করে আশ মিটছে না। সর্বক্ষণ তাকে কোলে নিয়ে বসে থাকতে মন চাইছে প্রভুদেবার। সেই সঙ্গে তিনি মনে করছেন হিমানির কাছে থাকাও এখন জরুরি।
আনন্দের সঙ্গে প্রভুদেবা বলেন, “কাজকর্মের বোঝা কমাতে আরম্ভ করেছি। অনেক কাজ তো করলাম। দৌড়েছি এত দিন। এখন পরিবারকে বেশি করে সময় দিতে চাই।”
মুম্বই এবং চেন্নাই— দুই শহরেই পরিচালক এবং অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন প্রভু। তবে, এখন বাবা হওয়ার খুশিতে রাশ টানতে চান কাজে। যদি না হাতে হঠাৎ বড় কিছু এসে যায়, প্রভু এখন নতুন করে পিতৃত্ব উপভোগ করতে চান।
১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে ২০০০ সালের শুরুর দিক অবধি বহু ছবিতে জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন প্রভু। তাঁর অভিনীত ‘ইন্ডিয়ান কাধালান’(১৯৯৪) থেকে শুরু করে ‘লভ বার্ডস’(১৯৯৬), ‘মিনসারা কানাভু’(১৯৯৭) এবং ‘ভিআইপি’(১৯৯৭) ছবি বাণিজ্যিক ভাবেও দারুণ সফল ছিল। ২০০০ সালের পর থেকে প্রভুর অভিনীত ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হতে শুরু করে। এর পর তামিল ছবিতে পার্শ্বচরিত্র দেওয়া হয় তাঁকে। কিছু দিনের মধ্যেই অভিনয় থেকে সরে এসে পরিচালনায় মন দেন প্রভু। ‘ওয়ান্টেড’(২০০৯), ‘রাওডি রাঠোর’(২০১২)-এর মতো বাণিজ্যসফল ছবি বানিয়ে ফের নিজের জায়গা করে নেন প্রভুদেবা।