ফিরছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
ডিজিটালে জীবন্ত হতে চলেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মনখারাপ করলেই অনুরাগীরা এক ক্লিকে দেখে নিতে পারবেন বর্ষীয়ান অভিনেতার ব্যবহৃত যে কোনও জিনিস! সৌজন্যে পৌলমী বসু। বাবাকে আজীবন ধরে রাখতে কোন মেয়ে না চায়? সেই ভাবনা থেকেই সৌমিত্রবাবুকে ডিজিটালে জীবন্ত করার ভাবনা তাঁর কন্যার। আনন্দবাজার অনলাইনকে পৌলমী বলেছেন, ‘‘বন্ধু শিবাংশু মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই সরকারি আনুকুল্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে। শিবাংশু নিজে রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন দফতরের কর্মী।’’
পৌলমীর মতোই তাঁর দাদা সৌগত চট্টোপাধ্যায়েরও বহু দিনের ইচ্ছে, সৌমিত্রবাবুর ব্যবহৃত জিনিস সংরক্ষিত হোক। তাই নিয়েই তিনি আলোচনায় বসেছিলেন শিবাংশু, রিমি ঘোষ দস্তিদার, রঞ্জন মিত্রের সঙ্গে। আলোচনা এগোতেই শিবাংশু সৌমিত্র-কন্যাকে বিভাগীয় প্রধান আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারের কাছে নিয়ে যান। পৌলমীর কথায়, ‘‘সমস্তটা জানার পরেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অনুমতি দেন রাজীব কুমার। সব রকম সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এত সহজে এ ভাবে সরকারি স্বীকৃতি পাব ভাবতেই পারিনি।’’
এই কাজে পৌলমী এবং সৌগতর কাছে সৌমিত্রবাবুর যাবতীয় যা আছে সে সব ডিজিটাল সংরক্ষণ তো হবেই। পাশাপাশি তাঁরা অনুরাগীদের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন, যাঁদের কাছে সৌমিত্র সংক্রান্ত যা আছে সে সব তাঁরা পৌলমীর হাতে তুলে দিলে স্মৃতির ভাঁড়ার আরও সমৃদ্ধ হবে। অভিনেতা-কন্যার বক্তব্য, ‘‘প্রতিটি জিনিস ডিজিটাল সংরক্ষণ করতে যতটুকু সময় লাগবে ততটুকুই নেব আমরা। তার পরেই যাঁর জিনিস তাঁকে আবার ফেরত দিয়ে দেব।’’ সমস্ত জিনিস সংগ্রহের পরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি ওয়েবসাইট লিঙ্ক আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। পৌলমীর কথায়, ‘‘বাবার লেখা, আঁকা, উপন্যাস, নাটকের পাণ্ডুলিপি, অপ্রকাশিত ডায়েরি, নাটকের চিত্রনাট্য— সব এক ক্লিকে ধরা দেবে তাঁর অনুরাগীদের কাছে।’’