‘পোস্ত’ ছবির একটি দৃশ্যে মিমি, যিশু ও অর্ঘ্য।
‘বেলাশেষে’ এবং ‘প্রাক্তন’ দিয়ে বক্স অফিসের চেনা ছবিটা পাল্টে দিয়েছিলেন পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়। তাঁদের পরের ছবি ‘পোস্ত’। মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১২মে। একই রকম বাণিজ্যিক প্রত্যাশা রয়েছে এই ছবিটিকে ঘিরেও। তবে মুক্তির আগেই টলি সিনেমার ইতিহাসে ঢুকে পড়ল ছবিটি। কলকাতার বাইরে জাতীয় স্তরে প্রায় ১০০টি হলে মুক্তি পাবে ‘পোস্ত’। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে যা প্রথম বলে দাবি প্রযোজকদের।
আরও পড়ুন, সাগরপাড়ের ‘পোস্ত’দের ‘উপস্থিতিতে’ ট্রেলার লঞ্চ
প্রযোজক সংস্থা ইরোস ইন্টারন্যাশনালের তরফে সিনিয়র ভিপি নন্দু আহুজা বললেন, ‘‘উইন্ডোজের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে আমরা পরপর দুটো ব্লকবাস্টার হিট দিয়েছি। ‘পোস্ত’র একটা আন্তর্জাতিক আবেদন রয়েছে। ভৌগোলিক সীমানা, ভিন্ন ভাষা কোনও কিছুই এই ছবিকে আটকে রাখতে পারবে না বলেই আমার বিশ্বাস।’’
আরও পড়ুন, ‘রিভিউ না পড়েই হয়তো দর্শক ছবিটা দেখবেন’
পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘রিলিজ প্ল্যান নিয়ে আমরা খুব উত্তেজিত। গোটা পরিকল্পনাটা বাংলা ছবির ক্ষেত্রে অবশ্যই পথপ্রদর্শকের কাজ করবে। যদি স্টোরি লাইনটা দর্শকদের পছন্দ হয়, সেটাই আমার আর নন্দিতাদির কাছে সব থেকে ভাললাগার জায়গা হবে।’’
কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে ‘পোস্ত’ অর্ঘ্য বসু রায়।
ছবির গল্পে আটপৌরে ছন্দ। ‘পোস্ত’, অর্থাত্ অর্ঘ্য বসু রায় থাকে তার দাদু-ঠাকুমার কাছে। চাকুরে বাবা-মা কলকাতা থেকে মাঝেমধ্যে আসেন। ‘পোস্ত’কে মিস করেন মা। ছেলে-বউকে নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চান ‘পোস্ত’র বাবা। ঠিক এখানেই সংঘাতের শুরু। ‘পোস্ত’র ওপর কার অধিকার বেশি? বায়োলজিক্যাল বাবা-মায়ের নাকি ‘পোস্ত’কে গড়ে তোলার কারিগর দাদু-ঠাকুমার? লড়াই গড়ায় আদালত পর্যন্ত। উত্তর দেবে আগামী ১২ মে-র প্রেক্ষাগৃহ।