সদ্য গোয়া থেকে ঘুরে এলেন পরম-পিয়া। নিজস্ব চিত্র।
চলতি বছরের প্রেম দিবসে সুখবর দিয়েছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। জানিয়েছিলেন, জুন মাসেই সন্তানের আবির্ভাবের সম্ভাবনা। বর্তমানে সন্তানকে স্বাগত জানানোর মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন দু’জনই। তবে থেমে নেই কাজ। দু’জনই যে যাঁর কাজ নিয়ে ব্যস্ত। রোজনামচার ব্যস্ততার মধ্যে অনাবিল আনন্দ খুঁজতে সম্প্রতি পরম-পিয়া ঘুরে এলেন গোয়া থেকে।
আনন্দবাজার ডট কমকে পিয়া বলেন, “গোয়া ঘোরার গোটা অভিজ্ঞতাই ছিল খুব আরামদায়ক। ইচ্ছে করেই গোয়াকে বেছে নিয়েছিলাম আমরা। এই সময় হইহই করে ঘুরে বেড়াতে পারব না আমরা। তা ছাড়া আমরা দু’জনই সমুদ্র খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আমি সমুদ্রপ্রেমী। সমুদ্রের ধারে আরামে ও শান্তিতে সুসময় কাটানোই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। ব্যস্ততার মধ্যে একটা সুন্দর বিরতি পেলাম গোয়া ভ্রমণ করে।”
বিশেষ করে সন্ধে নামার পরে গোয়ার সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের স্মৃতি এখনও যেন উপভোগ করছেন পিয়া। দীর্ঘ ক্ষণ সমুদ্রের ধারে বসে থেকেছেন। সৈকতের উপর গড়ে ওঠা ছোট ছোট রেস্তরাঁয় (শ্যাকস) খাওয়াদাওয়া করেছেন। সমুদ্রের ঢেউয়ের চলমান শব্দ উপভোগ করেছেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেড়াতে যাওয়া প্রসঙ্গে পিয়া বলেছেন, “আসলে প্রত্যেকের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়। অনেকেই এই সময় কোথাও যেতে নিরাপদ বোধ করেন না। আমরা এমনিই বেড়াতে যেতে ভালবাসি। চিকিৎসকই আমাদের বলেছিলেন কোথাও যাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। এর পরের পর্যায়ে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। বিমানে যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকের এই পরামর্শ আনন্দের সঙ্গে লুফে নিয়েছিলাম।”
খুব শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে পরমব্রতের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’। এ ছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে বেশ কিছু কাজ। বাড়িতে মন দিতে পারছেন পরম? পিয়ার স্পষ্ট উত্তর, “প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও অনেকটা সময় ও মনোযোগ দিচ্ছে পরম। আমি ওকে বলেছি, এই সময় খেয়াল রাখতে হলে মনের খেয়াল রাখতে হবে। আমার মনের মধ্যে কী চলছে, সেটা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তার পর থেকে ও নিয়মিত বা রোজ আমার মন ও অনুভূতির খেয়ালও রাখছে।”
যদিও পিয়া জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেই ভাবে তাঁর মেজাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি। সমাজকর্মী তথা মনোবিদের কথায়, “আমার চারপাশে যাঁরা থাকেন তাঁরা আরও ভাল বলতে পারবেন। আসলে কোনও ছবি দেখলে বা বই পড়ার পরে আমার আবেগ বেরিয়ে পড়ে। এমনিতেই ছবি দেখলে সহজে চোখে জল আসে। সেটাই আরও বেশি করে এখন হচ্ছে। তবে এই সময় একটা বিষয়ে বদল এসেছে। মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আর কোনও আগ্রহ নেই এখন। বরং নোনতা খাবারই বেশি ভাল লাগছে।” সন্তানের জন্য এখন অপেক্ষা জারি রয়েছে। তবে বাবা-মা হিসেবে তাঁরা কেমন হবেন, তা এখনও বুঝতে পারছেন না। পিয়া বলেছেন, “আমাদের পোষ্য সন্তান রয়েছে। ওদের জন্য আমাদের মধ্যে আগে থেকেই পিতৃসত্তা ও মাতৃসত্তা রয়েছে। সন্তান আসার পরে অভিজ্ঞতা ক্রমশ আবিষ্কার করব আমরা দু’জনই। সেই অপেক্ষাতেই আছি।”