বাঁ দিক থেকে কঙ্গনা, পায়েল এবং অনুরাগ।
পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই প্রকাশ্যে কঙ্গনাকে ধন্যবাদ জানালেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। সেই পায়েল ঘোষ যিনি শনিবার রাতে পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় কঙ্গনার উদ্দেশে পায়েলের বক্তব্য, “আমরা নারী, আর আমরা মিলেই ওদের টেনে নীচে নামাব।”
শনিবার রাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দফতরকে ট্যাগ করে অনুরাগ তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন পায়েল। সেই মর্মে টুইটারে একটি পোস্টও করেন তিনি। বিষয়টি সামনে আসতেই মুহূর্তের মধ্যে মাঠে নেমে পড়েন কঙ্গনা রানাউত। অনুরাগের গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, রবিবারেও অনুরাগ এবং পায়েল প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি টুইট করেন কঙ্গনা। অনুরাগের ব্যক্তিগত জীবন টেনে এনে কঙ্গনা লেখেন, “অনুরাগ এমনটা করতেই পারে। ওর সমস্ত সঙ্গীনীকেই ও অতীতে ঠকিয়েছে। ফ্যান্টম (অনুরাগের প্রযোজনা সংস্থা) খারাপ লোকে ভর্তি।”
বলিউডকে ‘বুলিউড’ আখ্যা দিয়ে আর একটি টুইটে কঙ্গনা লেখেন, “পায়েলের মতো এমন ঘটনা আখছাড় এখানে হচ্ছে। আউটসাইডারদের এখানে যৌনকর্মী মনে করা হয়।” কঙ্গনা লেখেন, তাঁকেও নাকি এ রকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। “পার্টিতে হঠাৎই কুৎসিত ইঙ্গিত, ডান্স ফ্লোরে জোর করে চুম্বন... শারীরিক নির্যাতন অনেক বড় বড় হিরো আমার সঙ্গেও এমনটা করেছে।” কঙ্গনার ওই একের পর এক টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে এর পরেই ওই টুইটটি করেন পায়েল। কঙ্গনাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি একই সঙ্গে ‘ওইসব মানুষদের’ টেনে নীচে নামানোর ‘অঙ্গীকার’ও করেন পায়েল।
চুপ থাকেননি অনুরাগও। নাম না করেই কঙ্গনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘‘দারুণ ব্যাপার যে আমাকে চুপ করানোর চেষ্টা করতে এত সময় লেগে গেল। সে না হয় ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে চুপ করানোর জন্য এত মিথ্যে বলতে হচ্ছিল যে নারী হয়ে অন্য এক নারীকে সেই মিথ্যেয় শামিল করতে হল। ম্যাডাম, অন্তত একটু শালীনতা বজায় রাখুন। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে, সব ভিত্তিহীন। আমাকে কালিমালিপ্ত করতে গিয়ে আমার কলাকুশলী, এমনকি বচ্চন পরিবারকে টেনে আনাটা মোটেই বুদ্ধির কাজ হয়নি।’’
গতকাল টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করেছিলেন পায়েল। অনুরাগ কশ্যপ ঘোষিত ভাবেই মোদী-বিরোধী। প্রকাশ্যেই তিনি মোদী সরকার এবং বিজেপির নানাবিধ সমালোচনা করে থাকেন। সম্প্রতি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও অনুরাগ বিভিন্ন ভাবে তাঁর মত প্রকাশ করেছেন। যা কেন্দ্রের শাসক দলকে খুব একটা স্বস্তিতে রাখেনি। অন্য দিকে কঙ্গনা ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। সেই অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় এ বারও বলিউডের একাংশ ‘রাজনীতি’রই গন্ধ পাচ্ছেন। যদিও পায়েল আজ সেই প্রসঙ্গে টুইটারে লেখেন, “যারা বলছেন আমি রাজনীতির জন্য এমনটা করছি, তাঁদের কাছে প্রশ্ন আপনার বাড়ির মা-বোনেরা যদি একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ত তখন এমনটাই প্রতিক্রিয়া হতো তো?”