দেখতে দেখতে পোস্তা ব্রিজ ভেঙে পড়ার ছ’বছর পার। কেমন আছে শহর কলকাতা?
পরিচালক পাভেল বৃহস্পতিবার দেখতে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থল। মাথার উপরে খাঁ খাঁ করছে আকাশ। ভাঙা অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকেরা ব্যস্তবাগীশ আগের মতোই। কলকাতা আছে কলকাতাতেই। দেখে খুশি পরিচালক? এটাই কি দেখবেন বলে আশা করেছিলেন? যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পাভেলের দাবি, ‘‘আমি জানতাম, যতই অঘটন ঘটুক, শহর থামবে না। কলকাতা চলবেই। আমার ভাবনা সঠিক দেখে সত্যিই তৃপ্ত।’’
এ দিন আনন্দবাজার অনলাইনের হাত ধরে প্রথম প্রকাশ্যে এল ছবির চরিত্রদের ‘লুক’।
নিজের ভাবনা পাভেল ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর আগামী ছবি ‘কলকাতা চলন্তিকা’য়। তাঁর ভাবনাকে জীবন্ত করেছেন ইশা সাহা, রজতাভ দত্ত, সৌরভ দাস, অপরাজিতা আঢ্য, শতাব্দী চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, দিতিপ্রিয়া রায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কিরণ দত্ত ওরফে বং গাই, অনামিকা সাহা। তিন দিনের গল্প উঠে আসবে ছবিতে। বাবা ভূতনাথ এন্টারটেনমেন্টের ছাতার নীচে শতদ্রু চক্রবর্তী প্রযোজিত ‘কলকাতা চলন্তিকা’-র গল্প লিখেছেন পাভেল এবং অধ্যাপক স্বাতী বিশ্বাস। পাভেলের শহর-প্রেম ফ্রেমবন্দি হওয়ার পাশাপাশি থাকবে রাজনীতির জলছবিও।
পরিচালকের দাবি, শহর থাকবে, শহরবাসী থাকবে আর রাজনীতি থাকবে না, হয়? কোনও বিশেষ দল ছবিতে ধরা না দিলেও নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা ক্যাডাররা কী ভাবে বেধড়ক মার খায়, তা দেখাবে এই ছবি। যার প্রতিনিধি খরাজ। অপরাজিতা পুলিশ। ইশা, সৌরভ দুর্ঘটনায় গৃহহীন পোস্তাবাসীর চরিত্রে। দিতিপ্রিয়া প্রযুক্তি দুনিয়ার কর্মীর ভূমিকায়, শতাব্দী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
ছবির বিষয় বিতর্ক ডেকে আনতে পারে। প্রিমিয়ারে নেতা-মন্ত্রী, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসারদের আমন্ত্রণ জানাবেন পাভেল? ফের প্রত্যয়ী জবাব, ‘‘সাধারণ মানুষের বাঁচার লড়াই নিয়ে আমার গল্প। তাঁদের চলার গতি ধরা থাকবে ‘কলকাতা চলন্তিকা’য়। কোনও রাজনৈতিক ছবি বানাচ্ছি না। ফলে, নেতা-মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানাতে ভয় কীসের?’’