পার্নো মিত্র।
ওয়েব সিরিজ ‘চুপকথা’র দ্বিতীয় সিজন আসছে তো?
হ্যাঁ। প্রথমটার রেসপন্স ভাল ছিল।
আপনি তো এখানে সাংবাদিক?
ইয়েস। শিবাঙ্গি, আমার ক্যারেক্টার। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট।
এত সাংবাদিকদের সঙ্গে আপনার দেখা হয়, সাংবাদিকদের সম্পর্কে কী ধারণা আপনার?
(হাসি) আমার প্রচুর সাংবাদিক বন্ধু আছে। সকলের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক। আর আমার মনে হয়, আপনারা যেটা করেন, সেটাই আপনাদের কাজ। নাথিং টু সে। তবে কখনও কখনও মনে হয় প্রাইভেট লাইফে অনেক বেশি ঢুকে পড়েন।
আরও পড়ুন, ‘আমার দুর্গা’র পর কী করছেন সঙ্ঘমিত্রা?
সাংবাদিকদেরও বাধ্যবাধকতা থাকে, মানবেন নিশ্চয়ই?
হুম। জানি। হয়তো সাংবাদিকদেরও কিছু করার থাকে না। কিন্তু সব কিছুতেই লাইন টানতে জানতে হয়। ইউ শুড ড্র আ লাইন। ওই লাইনটা ভুলে গেলে ভাল লাগে না। সো, পার্সোনাল লাইফ নিয়ে বেশি লেখা হলে ভাল লাগে না। সেটা পছন্দ করি না।
শিবাঙ্গি কেমন?
ইনডিপেন্টেড। কাজ ভালবাসে। কারও তোয়াক্কা করে না। দ্বিতীয় সিজনে ওর মা সত্তাটা বেরিয়ে আসবে। প্রথম পর্বে ও প্রেগন্যান্ট ছিল। যে কেসটা ও সলভ করছে সেটার সঙ্গে পার্সোনাল লাইফ ক্ল্যাশ করছে। মেজর ডিলেমা রয়েছে ওর। সেটা নিয়ে ডিল করছে। এর থেকে বেশি বলব না। বলে দিলে কেউ দেখবে না।
আরও পড়ুন, ‘আমি ভাগ্যবান #মিটু ফেস করিনি, কিন্তু কেন ভাগ্যবান বলব বলুন তো?’
ওয়েবে এখন অনেক ধরনের কাজ হচ্ছে। কতটা প্রমিসিং মনে হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মটা?
দেখুন, অনেক সাবজেক্ট আছে, যেগুলো ছবিতে করা সম্ভব নয়। সেন্সরের ঝামেলা আছে। বাজেট থাকে না। গল্পটা অনেক বেশি স্ট্রেচড হয়তো। সে ক্ষেত্রে ছবিতে দু’ঘণ্টা, আড়াই ঘণ্টার বেশি দেখাতে পারবে না। কিন্তু ওয়েবে সব ক্যারেক্টার এক্সপ্লোর করতে পারবে, গল্পটা ডিটেলে বলতে পারবে। অনেক ধরনের চরিত্র যেটা ছবিতে পাওয়া যায় না, এখানে পাওয়া যায়। যেটা করতে চান, সেটা করতে পারবেন। সব সময় সেক্সুয়াল জিনিসের কথা বলছি, এমন নয় কিন্তু। ইন জেনারেল বলছি।
‘চুপকথা’র লুকে পার্নো।
ওয়েব সিরিজ ব্যবসা করছে কি?
সাবস্ক্রিপশন বাড়ছে মানে তো ব্যবসা হচ্ছে। আর আমরা ‘নেটফ্লিক্স’ ভাল বলি সব সময়। কিন্তু তারও এই জায়গায় আসতে ২০ বছর লেগেছে। ফলে ভাল জিনিসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
‘চুপকথা’ অন্যান্য ওয়েব সিরিজের থেকে আলাদা কেন?
এটা হরর। আমি সুপারন্যাচারাল থ্রিলার দেখতে ভালবাসি। এমন অনেকেই আছেন। সেটার জন্য দেখবেন। তা ছাড়া এখানে মহিলাই হিরো। সেটাও আলাদা ব্যাপার।
আর কী কী প্রজেক্ট করছেন?
আপাতত আর কোনও কাজ নেই।
আরও পড়ুন, পুরুষ না মহিলা, কেমন সঙ্গী পছন্দ? চান্দ্রেয়ী বললেন…
কেন? অফার নেই?
এটা বলছি না যে লোকে বাড়ির বাইরে লাইন দিচ্ছে। কিন্তু অফার না এলে তো ইন্টারভিউটা হত না (হাসি)। লাস্ট ইয়ার তিনটে ছবি রিলিজ করেছে আমার। দুটো বড় প্রজেক্ট না বলেছি। চরিত্র পছন্দ হয়নি। অরিন্দমদার (শীল) ‘বালিঘর’ করার কথা ছিল…
কী হল ছবিটার?
আমার মনে হয় বাংলাদেশ থেকে কোনও সমস্যা হয়েছিল। আমাদের দিক থেকে সব রেডি ছিল। কিন্তু হল না। ডিসাপয়েন্টিং।
আপনি ডিরেক্ট কথা বলেন বলে কি কাজ পেতে সমস্যা হয়?
সেটা জানি না। এ বার থেকে ডিসাইড করেছি কথা কম বলব।
কেন?
আই ডোন্ট কেয়ার সো মাচ। আমার কথা কারও ভাল লাগতে পারে, কারও নাও লাগতে পারে। কিন্তু বয়স হয়ে গিয়েছে তো (হাসি)। আসলে পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট কথা বলে ফেলি।
এ বার থেকে ডিসাইড করেছি কথা কম বলব, বলছেন নায়িকা।
বয়স হয়ে গিয়েছে বলছেন?
হ্যাঁ, ২০০৭ থেকে কাজ করছি। অনেক দিন হল।
এটা লিখলেই কিন্তু বিয়ের প্রসঙ্গও উঠবে…
এই যে, আপনাদের, মানে সাংবাদিকদের এটা একটা সমস্যা। বাড়ির বড়দের মতো বিয়ের কথাটা জিজ্ঞেস করবেই… (হাসি)। বিয়ে করলে জানতে পারবেন।
আপনার বয়ফ্রেন্ড নাকি হোটেল ব্যবসায়ী?
তাই? আমি জানি না তো।
আরও পড়ুন, অল্প বয়সে সাফল্যে পিআর কতটা কাজে লাগল? ঋদ্ধি বললেন...
খবর হয়েছে তো এটা নিয়ে…
খবর তো খবরই। জীবনে বয়ফ্রেন্ড থাকলে মেকআপ আর্টিস্ট আর বোনের সঙ্গে সারা ক্ষণ ঘুরে বেড়াতাম না।
২০১৯-এ পার্নোর বয়ফ্রেন্ড নেই। ইজ ইট ট্রু?
ইট ইজ ট্রু। সম্পর্ক তৈরি করার মতো ইন্টারেস্টিং কারও সঙ্গে দেখাই হয়নি।
আপনার কলিগ মিমি, নুসরত ভোটে লড়ছেন। আপনাকেও এই ভূমিকায় দেখা যাবে?
আমার ভোটার আইডি কার্ডের অ্যাড্রেস চেঞ্জ করতে হবে। সেটা কাকে বলব ভাবছি। ওটা আগে দরকার। ভোটে দাঁড়ানো তো পরের কথা। আমি সকালে জানি না বিকেলে কী করব। ফলে যে দিন মনে হবে এতগুলো মানুষের দায়িত্ব নিতে পারব, সে দিন ভাবব।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)