(বাঁ দিক থেকে) দীপিকা পাড়ুকোন, পরিণীতি চোপড়া, অনুষ্কা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
ইমতিয়াজ় আলির নতুন ছবি ‘অমর সিংহ চমকিলা’ কিছু দিন আগেই একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। তার পর থেকে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে ছবিটি। এ ছবিটি মূলত ‘পঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ অভিধায় অভিষিক্ত গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।
ছবিতে পরিণীতির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মহলে। বলিউডে পরিণীতির অভিষেকটা বড়সড় করে হলেও পরের দশ বছরে তাঁর একাধিক ছবি ‘ফ্লপ’। কিন্তু এ বার এই ছবিটি পরিণীতির কেরিয়ারে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই ধারণা অভিনেত্রীর।
সে অবশ্য অন্য কথা। সম্প্রতি পরিণীতি তাঁর নিজের সম্পর্কে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেছেন, বলিউডের সফর কখনই খুব সহজ ছিল না তাঁর জন্য। অভিনেত্রী হওয়ার আগে দীপিকা পাড়ুকোন, অনুষ্কা শর্মা, রণবীর সিংহ দের ফরমায়েশ রক্ষা করা থেকে তাঁদের সাক্ষাৎকার করানোর দায়িত্বও ছিল তাঁর উপরই।
রানি মুখোপাধ্যায়ের জনসংযোগ আধিকারিক হিসাবে বলিউডে যাত্রা শুরু পরিণীতির। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিণীতি বলেছেন, ‘‘‘দিল বোলে হারিপ্পা’ ছবি থেকে রানির সঙ্গে কাজ করা শুরু করি। তার পর দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা শর্মা ও শাহিদ কাপূরের সঙ্গে ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োয় ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ‘ব্যান্ড বাজা বরাত’। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম।’’
শুধু তা-ই নয়, রণবীর , অনুষ্কাদের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং তাঁদের ছবির প্রচারের কাজ দেখা— সব করেছেন তিনি। এক কথায় তারকাদের জনসংযোগের দিকটা পরিণীতিকে দেখতে হত তখন ।
পরিচালক মণীশ শর্মা তাঁকে আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ‘জব উই মেট’-এর একটি দৃশ্যে অডিশন দিয়েছিলেন পরিণীতি। তাঁর অভিনয় আদিত্য চোপড়ার ভাল লাগে এবং পরবর্তী তিনটি ফিল্মের জন্য চুক্তি সেরে ফেলেন তাঁর সঙ্গে। ২০১১ সালের ফিল্ম ‘লেডিজ় ভার্সেস ভিকি বহল’-এ আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ফিল্ম খুব একটা লাভের মুখ না দেখলেও পরিণীতির অভিনয় দর্শকেরা পছন্দ করেন। তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘ইশাকজ়াদে’ ছিল অর্জুন কপূরের বিপরীতে। পর পর দুটো ছবিতেই তিনি দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন। তৃতীয় ছবিটিও হিট হয়। অনেকগুলি পুরস্কারও নিয়ে যান তিনি। কিন্তু তার পরই যেন খারাপ সময় শুরু হয়।
মাঝে শুধু কাজ করে গিয়েছেন, কিন্তু দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারেননি। এ বার ‘চমকিলা’ ছবির মাধ্যমে যেন প্রত্যাবর্তন হল তাঁর।