পরমব্রত-পাওলি
এ মাধবীলতা ‘কালবেলা’-র নয়। এ যেন অন্য এক পাওলি। বড় চাকরির যান্ত্রিকতা ও নগরজীবনের দম বন্ধ আবহাওয়ায় সে ক্লান্ত। সে ফিরতে চায় সবুজবেলার কৈশোর হলুদবনিতে। পাহাড়, নদীর শান্তিতে। কিন্তু সেই কাছে যাওয়ার মধ্যে সে বুঝতে পারে হলুদবনি আজ আর তার নেই! এখানে কী রইল তার জন্য অশ্রু নাকি উল্লাস?
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প ‘হলুদবনি’ অবলম্বনে ছবি করছেন পরিচালক মুকুল রায় চৌধুরী।
‘‘আসলে গল্পটা শুধু প্রেম বা সম্পর্কে থেমে থাকে না। এই গল্প বাস্তবিক অর্থে একটা যুগের আত্মকথা। পরমকে ছবিতে অন্যরকম চরিত্রে পাওয়া যাবে,’’ বললেন ‘হলুদবনি’-র কস্তুরী ওরফে পাওলি। কিশোর প্রেম আর শরীরী আকর্ষণের মাঝে ঘুরবে এই ছবি।
‘‘ ‘আনন্দলোক পত্রিকা’-য় সুকান্তদার গল্পটা পড়েছিলাম। গল্পের জন্যই এই ছবি করা। জঙ্গুলে জায়গা, দোল পূ্র্ণিমার শরীর, মাটির রুক্ষতা ঘিরে থাকবে ছবির তিন চরিত্রকে। দুজন নারীর মাঝে কাজ করতে বেশ লাগছে।’’ ছবির নায়ক পরমব্রতর গলায় হাসি।
পাওলি আর পরম ছাড়াও এ ছবিতে আছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ তিশা।
‘হলুদবনি’ ছবিতে তিশা
‘‘তিশার সঙ্গে কাজ করার জন্যও এ ছবিটা করা। বাংলাদেশে ও রকম শক্তিশালী অভিনেত্রী খুব কমই আছে,’’ যোগ করলেন পরমব্রত। ছবির সংগীতের দায়িত্বে আছেন সৈকত মিত্র। গানের সঙ্গে-সঙ্গে তিনি ছবির প্রযোজনার দায়িত্ব নিয়েছেন। শিকড়ের কাছে হয়তো সকলেই ফিরতে চায়। কিন্তু শিকড় মানেই কি জমি? বাড়ি ? মাটি?
হলুদবনির মাটি যদিও বলবে অন্য কথা।