হলিউড অভিনেতা কেভিন স্পেসি। ছবি: সংগৃহীত।
হলিউডে ‘মিটু’ আন্দোলন চলাকালীন শিরোনামে উঠে এসেছিল যে তারকাদের নাম, তাঁদের মধ্যে কেভিন স্পেসি অন্যতম। একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেতার বিরুদ্ধে। ‘টাইমস আপ’ আন্দোলনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন একাধিক মহিলা সহকর্মী। শুধু মহিলা সহকর্মীদের উপর যৌন নির্যাতনই নয়, চার পুরুষকেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে স্পেসির বিরুদ্ধে। সেই মামলায় গত চার সপ্তাহ ধরে লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে চলছিল শুনানি। ২৬ জুলাই অবশেষে সেই মামলায় রেহাই পেলেন ‘হাউস অফ কার্ডস’ খ্যাত অভিনেতা। এক-দুটি নয়, মোট ন’টি মামলায় তাঁকে নির্দোষ সাব্যস্ত করল ১২ সদস্যের জুরি।
ব্রিটেনেই চার পুরুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ-সহ মোট ন’টি মামলার শুনানি চলছিল লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে। বলপূর্বক যৌনাঙ্গ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা, অনুমতি ছাড়া অজ্ঞান অবস্থায় যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিংশ শতাব্দীর শেষ ও একুশ শতকের প্রথম দিকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের কানাঘুষো শোনা গেলেও স্পেসির প্রভাবশালী তকমার কথা মাথায় রেখে সেই অভিযোগ লিখিত আকারে জমা পড়েনি। হলিউডে ‘মিটু’ ও ‘টাইমস আপ’ আন্দোলন গতি পেলে স্পেসির বিরুদ্ধে সরব হন একাধিক নির্যাতিতা ও নির্যাতিত। স্পেসির বিরুদ্ধে তাঁর সহকর্মীরাই অভিযোগ তোলেন, ৩০ বছরের কমবয়সি হলেই তাঁকে যেনতেনপ্রকারেণ হেনস্থা করা নাকি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন ‘আমেরিকান বিউটি’ খ্যাত অস্কারজয়ী তারকা। যদিও বরাবর নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন কেভিন। জন্মদিনে এক লাফে ন’টি মামলা থেকে রেহাই পেয়ে আপ্লুত স্পেসি। আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদেও ফেলেন ৬৪ বছর বয়সি অভিনেতা।
হলিউডের তাবড় প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টিইনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে এসেছিলেন সলমা হায়েক, গোয়েনেথ প্যালট্রো, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, কেট ব্ল্যানচেটের মতো হলিউড অভিনেত্রীরা। যৌন হেনস্থা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মোট ৮৭ জন নির্যাতিতা। ওয়েনস্টিইনের সরব হওয়ার পরেই হলিউডে গতি পেয়েছিল ‘মিটু’ আন্দোলন। ২০১৮ সালে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগে আত্মসমর্পণ করেন ‘পাল্প ফিকশন’-এর মতো ছবির প্রযোজক। ২০২০ সালে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। আপাতত জেলে ২৩ বছরের সাজা কাটছেন হলিউডের এক সময়ের হেভিওয়েট প্রযোজক।