প্রথম জামাইষষ্ঠীতে কোথায় আশিস-রূপালি? নিজস্ব চিত্র।
প্রথম জামাইষষ্ঠী। সকাল থেকে উদ্যাপন। ভূরিভোজের আয়োজন। আশিস বিদ্যার্থী বুধবার শ্বশুরবাড়়ি থাকবেন, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন তাঁর পরিচিত, অনুরাগীরা। কিন্তু যাঁর পায়ের তলায় সর্ষে তিনি কখনও এক জায়গায় থাকতেন পারেন? সবার সব হিসেব বদলে তিনি স্ত্রীর রূপালি বড়ুয়াকে নিয়ে কেরলে!
খবর পেয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। এমন দিনে তিনি কেরলে! কেন? আশিস জানিয়েছেন, তিনি আর স্ত্রী রূপালি সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘রেনিং স্মাইল’ নিয়ে। কন্যাকুমারী থেকে শুরু করেছেন। এখন কেরলে। ১৬ জুন আসবেন কলকাতায়। দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্যাফেতে দেখা যাবে তাঁদের। এত কিছু মধ্যেও উদ্যাপনে বাধা নেই। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে কব্জি ডুবিয়ে মাটন আর মিষ্টি খাবেন। শরীরের কারণে যে দুটো খাবার তাঁর জীবনে নিষিদ্ধ। বলেছেন, ‘‘বিশেষ দিনগুলোয় বৌ ছাড় দেয়। আজ যেমন দিয়েছে।’’
শ্বশুরবাড়ি থাকলে নিশ্চয়ই ঘটা হত? হাসিমাখা জবাব এল, ‘‘অবশ্যই হত। কিন্তু নেই বলে কম কিছু হচ্ছে না। আমরা দু’জনে আমাদের মতো করে পালন করছি। রূপালি সাদা-কালো রঙের নতুন জামা কিনে দিয়েছে। শর্টস পিচরঙা। সেটা পরছি। ওর পোশাক পিচ রঙের। ট্রাউজ়ার সাদা-কালো। আজ আমরা এ ভাবেই রংমিলন্তি।’’ বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের অভিনেতা স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো উপহার দিচ্ছেন। অনুষ্ঠান শেষ হবে কাশ্মীরে।
এই মুহূর্তে সারা দেশে তাপমাত্রা লাফিয়ে বাড়ছে। তাপপ্রবাহ কমাতেই তাঁদের এই আয়োজন। ইতিমধ্যে যে কয়েকটি জায়গায় তাঁরা অনুষ্ঠান করেছেন সেখানে বৃষ্টি এসেছে? প্রশ্ন শুনে উচ্ছ্বাস চাপতে পারেননি অভিনেতা। জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি জায়গায় তাঁদের অনুষ্ঠানের পর বৃষ্টি এসেছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এও বলেছেন, ‘‘লিখে রাখুন, ১৬ জুন কলকাতা বৃষ্টিতে ভিজবে।’’
আগে তাঁর প্রত্যেক জামাইষষ্ঠী যথেষ্ট জমকালো হত। মনে পড়ে সে সব দিন? তখনও যে প্রত্যেক বছর তিনি শ্বশুরবাড়ি যেতেন এমন নয়, জানিয়েছেন আশিস। কারণ, কখনও তিনি এক জায়গায় বেশি দিন থাকতে পারেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আগেও উদ্যাপন ছিল। সেই সময় অনুযায়ী। এখনও আছে। এখনকার মতো করে। যখন যেমন তখন তেমন, যেখানে যেমন সেখানে তেমন— আমি এই মতে বিশ্বাসী।’’