পুরনো পরিচালক গিল্ডে স্বরূপ বিশ্বাস, পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই শোনা গিয়েছিল, ইআইএমপিডিএ-তে (ইস্ট ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন) নাকি ফিরতে চান কিছু পরিচালক। তালিকায় অরিন্দম শীল, রাহুল মুখোপাধ্যায় এবং আরও কিছু পরিচালক। তাঁরা প্রত্যেকেই শুরুতে এই সংগঠনেরই সদস্য ছিলেন। তা হলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন কেন? সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ শুভম দাস সেই সময় আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, কিছু মতবিরোধের কারণেই ডিএইআই (ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া)-এর জন্ম।
চলতি মাসের মাঝামাঝি শোনা যায়, ঘর ওয়াপসি চেয়ে ইতিমধ্যেই রাহুল, অরিন্দম-সহ একাধিক পরিচালক পুরনো সংগঠনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার বার্ষিক বৈঠক ডেকে তাঁদের সাদরে ফিরিয়ে নিলেন পুরনো পরিচালক গিল্ডের নতুন কার্যকরী সভাপতি অনুপ সেনগুপ্ত। এই দুই পরিচালকের সঙ্গে ঘর ওয়াপসি ঘটল সৃজিত মুখোপাধ্যায়েরও। সংগঠনের সম্মাননীয় সভাপতির পদে বর্ষীয়ান পরিচালক স্বপন সাহা। আরও জানা গিয়েছে, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। এ দিন তিনি নাকি ঘোষণা করেছেন, আগামী দিনে নতুন পরিচালক গিল্ডের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করবে না ফেডারেশন।
খবরের সত্যতা যাচাই করতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পুরনো পরিচালক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ শুভমের সঙ্গে। তিনি খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন। বলেছেন, “আমরা অনুপদাকে পেয়ে খুবই খুশি। স্বরূপদাও রয়েছেন আমাদের সঙ্গে। যাঁরা ভুল বুঝতে পারছেন তাঁরা ফিরে আসছেন। ভাল লাগছে। প্রত্যেককে স্বাগত।” যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল বর্ষীয়ান পরিচালক অনুপের সঙ্গেও। নবনির্বাচিত কার্যকরী সভাপতির ফোন বন্ধ। তিনি বৈঠকে ব্যস্ত। মতবিরোধের কারণে পুরনো গিল্ড থেকে নতুন গিল্ডের জন্ম। সেখানকার সদস্যেরা যখন আবার ফিরছেন তা হলে কি দুটো গিল্ড মিশে যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল শুভমকে। তিনি জানিয়েছেন, সে রকম কিছুই ঘটবে না। এ দিন কমবেশি ১৫ জন পরিচালক পুরনো সংগঠনে ফিরে এসেছেন।
তিনি ফেডারেশন সভাপতি। খবর অনুযায়ী, শনিবার থেকে তিনি পুরনো পরিচালক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা। নতুন ভূমিকায় তাঁকে কী ভাবে দেখতে চলেছে টলিউড? জানতে ফোন করা হয়েছিল স্বরূপকে। তবে তিনি ফোনে অধরা।
প্রসঙ্গত, নতুন পরিচালক গিল্ডের সঙ্গে ফেডারেশনের কাজিয়ার কথা বিনোদন দুনিয়ার কারও অজানা নয়। বিষয়টি যেন ছোট গল্পের মতো। ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’! গত বছর থেকে সেই দ্বন্দ্ব আরও জোরালো। যার সূত্রপাত পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে তাতে সাময়িক দাঁড়ি পড়েছিল। নতুন বছরের গোড়ায় ফের পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীজিৎ রায়কে ঘিরে শুরু হয় নতুন গোলযোগ। যার জেরেই সম্ভবত পরিচালকদের ঘরে ফেরার তাগিদ। সকলেই এ ভাবে বেরিয়ে যেতে থাকলে নতুন পরিচালক গিল্ডের ভবিষ্যৎ কী? জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল গিল্ড সভাপতি সুব্রত সেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা এর বিন্দুবিসর্গ জানি না। আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ফলে, এ বিষয়ে কিছুই বলার নেই।”