নুসরত জাহান। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রশ্ন উঠেছিল, সন্দেশখালি কাণ্ডে তিনি কেন চুপ? তৎকালীন সাংসদ দাবি করেছিলেন, এলাকায় ‘১৭৪ ধারা’ জারি রয়েছে, সাংসদ গেলে তাঁর পার্ষদরাও যাবেন, অযথা ভিড় বাড়বে, তাই তিনি যাননি। এরপরেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। ১৪৪ ধারাকে ভুল করে ১৭৪ ধারা বলে ফেলা নুসরত জাহানকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আর টিকিট দেয়নি তৃণমূল।
কিন্তু আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে চুপ রইলেন না অভিনেত্রী। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার জন্য সুবিচার চেয়ে নুসরতের একটি পোস্ট করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন নুসরতের প্রশ্ন, ‘সত্যিই কি আমরা স্বাধীন?’
অভিনেত্রী পোস্টের শুরুতেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লেখেন, “আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মর্মান্তিক ঘটনা কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মহিলারা কি আদৌ নিরাপদ? বেশি রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থই কি এই ধরনের হিংসাকে আহ্বান জানানো? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন? ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসকে আমাদের সামনে। আর এর মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল কলকাতা আর ‘সিটি অফ জয়’ রইল না।”
নুসরত ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “এক জন কর্মরত চিকিৎসক রাতে কাজ করছিলেন। তাঁকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হল। আমাদের সমাজে যে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে তা, বুঝিয়ে দিল এই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা কল্পনাও করতে পারব না, ওঁর পরিবার এই ঘটনা জানতে পেরে কতটা যন্ত্রণা পেয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। যাঁরা প্রশাসনে বা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমি এই ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ করার অনুরোধ করব। এই নৃশংস ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করি। সকলের জন্য সুরক্ষিত পরিবার গড়ে তোলার সময় এসেছে।”
উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। নুসরতের সংসদ এলাকা বসিরহাটের অন্তর্গত ছিল সন্দেশখালি। জমি দখল থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতির জেরে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল।