নুসরতকে আক্রমণ নেটপাড়ায়
বেশ কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয় এক গর্ভনিরোধক ওষুধ সংস্থার হয়ে প্রচার করছেন নুসরত জাহান। সাংসদ-অভিনেত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও এই বিজ্ঞাপন নিয়ে ততটা মাথা ঘামাননি নেটাগরিকরা। কিন্তু নিখিল জৈনের সমস্ত বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিবৃতি জারি করার পর থেকে নুসরতকে দল বেঁধে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন নেটভুবনের বাসিন্দারা। নিখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে ‘সহবাস’ নাম দেওয়ার পর থেকেই ক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি তারকারাও ট্রোল করতে ছাড়েননি তাঁকে। নুসরত-নিখিলের ‘বিয়ে-সহবাস’ বিতর্ককে নিয়ে ঠাট্টা করেছেন অভিনেতা-সঞ্চালক মীর আফসার আলিও।
এমনই সময়ে শনিবার সেই বিজ্ঞাপনের একটি ছবি পোস্ট করেছেন নুসরত। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি গর্ভনিরোধক ওষুধের প্রচার করছেন। বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন, ‘তোমার লড়াই আমাদের শক্তি’। সমাজে নারীদের লড়াইয়ের একাধিক গল্প তুলে ধরে এই সংস্থা। কিন্তু নুসরতকে সেই বিজ্ঞাপনের প্রচারে দেখে মেনে নিতে পারলেন না নেটাগরিকরা। কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ শুরু হল সেই পোস্টের তলায়।
নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নুসরতকে কুৎসিত কটাক্ষ
কারও হুমকি, ‘এমন মেয়েদের দেশ থেকে বার করে দেওয়া উচিত’। নিছক সন্দেহের বশে কেউ আবার ধরেই নিয়েছেন, অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সন্তানই ধারণ করছেন নুসরত। আক্রমণ ও ঠাট্টার ছলে অনাগত সন্তানের নামকরণও হয়ে গেল সেখানে।তৃণমূল সাংসদ নুসরত এবং বিজেপি সদস্য যশের সন্তানের নাম দেওয়া হল ‘বিজেমূল’। কেউ কেউ গর্ভনিরোধক ওষুধের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘আপনি এটা ব্যবহার করলে, আজ এই দিন আসত না’। অনেকে আবার পিতৃপরিচয় জানার জন্য প্রশ্নের পর প্রশ্ন ছুড়েছেন অভিনেত্রীর দিকে। এক নেটাগরিক লিখলেন, ‘আপনার কি সত্যি লজ্জা নেই? এক জন সরল ছেলেকে ফাঁসালেন। পরে তাঁর সঙ্গে বিয়ের নাটক করলেন, ওঁর পয়সা হাতালেন। এখন বলছেন, আপনাদের নাকি বিয়েই হয়নি! ভগবান! সত্যি নুসরত, আপনাকে খুব সমর্থন করতাম, কিন্তু এটার পরে আপনাকে কিছুই বলার নেই।' কারও প্রশ্ন, ‘লিভ-ইন-এ থেকে গর্ভবতী হলেন কী ভাবে?' কেউ আবার নুসরতকে মুসলিম বিবাহ-বিচ্ছেদের পুরনো রীতি মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, ‘আপনি তো মুসলিম। আপনার স্বামী আপনাকে ৩ বার তলাক না বললে বিচ্ছেদ হবে না।' এক নেটাগরিক তাঁকে সরাসরি ‘লভ জিহাদ’-এর দায় চাপিয়ে বললেন, ‘সফল লভ জিহাদের জন্য শুভেচ্ছা।' অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কাঁটাছে়ড়া করা হল মন্তব্য বাক্সে। নুসরতকে ‘শ্রাবন্তীর দ্বিতীয় ভার্সন’ বা ‘শ্রাবন্তীও ফেল করে গেলেন’ বলে কটাক্ষ করলেন একাধিক নেটাগরিক।