নুসরত ফারিয়া মাজহার।
আপনার সম্পর্কে অভিযোগ আছে। পাঁচতারা হোটেলের মালিকরা আপনাকে ভয় পান!
(প্রচন্ড হাসি) আমি বুঝেছি আপনি এ রকম কেন বললেন।
আপনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বোঝাটাই স্বাভাবিক।
আসলে জিম ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না। ওটাই আমার লাইফস্টাইল। বিরসা দাশগুপ্ত-র ‘বিবাহ অভিযান’ করতে এই তো কলকাতায় ছিলাম। তখন তাজ বেঙ্গলের জিম-এর দায়িত্বে যিনি আছেন তাঁকে পাগল করে দিতাম। সাড়ে পাঁচটার মধ্যে জিম খুলতেই হবে। ঢাকায় থাকলে তো আমি সাড়ে চারটেয় উঠে পড়ি।
এত অল্প বয়সে শো হোস্ট করা, ‘আর জে’, আবার অভিনেত্রী। সামলাচ্ছেন কী করে?
আমি চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করি। দেখুন, এত কিছু করতে করতে পড়াটাও চালিয়ে যাচ্ছি। এ ভাবেই চলতে চাই।
প্রথমে তো ভাবিনি অভিনেত্রী হব। স্টেজ শো করতাম। উপস্থাপিকা ছিলাম। সেখান থেকে আর জে। তার পর প্রথম ছবির প্রস্তাব এল। আজিজ ভাই বললেন ছবি করার কথা। সেখান থেকে কলকাতায় আজিজ ভাই আর এসকে মুভিজের কর্ণধার আসেন। ‘আশিকী’ তৈরি হয়। অঙ্কুশ আমার হিরো ছিল। প্রথম বার খুব টেনশন ছিল ছবিটা কেমন হবে। কারণ, ২০১৫-য় কুরবানি ঈদে ছবি মুক্তি পায়। সে সময় সঙ্গে আরও বিখ্যাত ছবি ছিল। কিন্তু ছবিটা ভাল চলেছিল। এক রাত্রে ‘আশিকী’র সাফল্য আমায় অভিনেত্রী করেছিল। বাংলাদেশে হিউজ রেসপন্স ছিল। আমি ডিবেট দিয়ে শুরু করে ছবিতে এলাম। আমি এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে অন্য কিছু করিনি। ‘আশিকী’-র পরে নিজেকে সংশোধন করতে শুরু করলাম।
আরও পড়ুন, নবনীতা-জিতুর রিসেপশনে কারা গিয়েছিলেন জানেন?
সেটা কী রকম?
দেখুন লোকে ভাবে বাংলাদেশের নায়িকা মোটা হবে। এটা আমি ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নিজের মধ্যে এমন কিছু আনতে হবে যার জন্য মানুষ আমার কাছে আসবে। আগেই বললাম না, আমি একদিন টেলিভিশন না দেখে থাকতে পারব, কিন্তু জিমে না গিয়ে বাঁচতে পারব না। জিমে কোন দিন কী কাপড় পরব সেটাও আমার ঠিক করা থাকে। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও তাই। আমি হোটেলে থাকলে শেফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিই। বলি, ভালবেসে আমাকে বেশি বেশি দিয়ে দেন না যেন। কম কমে আমি খুশি।
কলকাতা আমার আর একটা বাড়ি, বললেন নায়িকা।
লোকে বলে, আপনার কম পোশাক পরার প্রবণতা আছে।
দেখুন বিতর্ক, সমালোচনা আমায় রোজ শুনতে হয়। আমি যে কাপড়ে কমফর্টেবল। দেখি আমায় সুন্দর লাগে, আমি পরি। আমি লোকের কথা ভেবে চললে এই জায়গায় আসতে পারতাম না। মানুষ যক্ষের মতো বসে থাকে আমি কী কী করছি, পরছি।
বিতর্ক আপনার পিছু ছাড়ে না। ‘আল্লাহ মেহেরবান’ গান নিয়ে তো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল...
আমি জানি, অনেকে আমাকে এই গান নিয়ে যা নয় তাই বলেছিলেন। আমার মনে হয়, সবার এতটুকু বিবেকবোধ ও বিবেচনা থাকা উচিত যে এটা অভিনয়। কোনও কিছুকে আঘাত করার জন্য নয়। কখনওই শিল্পীর তাঁর নিজের পছন্দমতো গানের সঙ্গে পোশাক পরে নাচ শুরু করে দিতে পারে না। এটা কিন্তু পুরো টিমের সিদ্ধান্ত। গানটির জন্য প্রায় তিন মাস পরিশ্রম করেছি। নাচের দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এটুকুই বলার।
আরও পড়ুন, প্রিয়ঙ্কার অদ্ভুত সাজ নিয়ে মুখ খুললেন মা মধু চোপড়া
এ বছরের কাজ কেমন চলছে?
এ বছরে আমি ‘শাহেনশাহ’ করলাম শাকিব খানের সঙ্গে। দুয়া করি এটা ভাল হবে। অঙ্কুশের সঙ্গে ‘বিবাহ অভিযান’-এর কাজ শেষ হল।
আপনার দশটা ছবির সাতটাই তো কলকাতার!
কলকাতা আমার আর একটা বাড়ি। এখানকার মানুষ, ফিল্ম ইউনিট, স্পট বয়— সব আমার চেনা।
পশ্চিমবঙ্গে কাদের অভিনয় ভাল লাগে?
আমি কিন্তু আগে হিরোইনের কথা বলব। আমি দেখেছি অভিনেত্রীরা এই বিষয়টা এড়িয়ে যান। মানে আগ বাড়িয়ে অভিনেত্রীদের কথা বলেন না। আমি বলব। আমার কোয়েল মল্লিককে দারুণ লাগে। উফ্ফ! ওর বাউন্সি হেয়ারের ফ্যান আমি। ‘আশিকী’-র প্রিমিয়ারে এসেছিলেন।
‘আমি চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করি। দেখুন, এত কিছু করতে করতে পড়াটাও চালিয়ে যাচ্ছি। ’
আর?
জিৎদা। অ্যামেজিং। পরিচালকদের মধ্যে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আর নন্দিতা রায়ের ছবি টেলিভিশনে দেখালেই দেখি। খুব ভাল লাগে আমার।
আর জয়া আহসান? আরিফিন শুভ?
জয়া আহসান আর আমার দেখা হয় এয়ারপোর্টে। অনুষ্ঠানেও হয়। আর আরিফিন ইজ মাই বাডি। খুব ভাল বন্ধু।
অসংখ্য প্রেমের প্রস্তাব কেমন করে সামলান?
সামলানোর কিছু নেই। আমি মনে করি প্রেম, ভালবাসার প্রস্তাব আসলে ব্লেসিংস। আমি প্রপোজাল হিসেবে নিই না। মানুষ আমায় নিয়ে ভাবছে।
আরও পড়ুন, এক প্রশ্ন করে বিরক্ত করেন কেন? বিয়ে প্রসঙ্গে রেগে গেলেন অর্জুন!
আর প্রেম?
প্রেম তিন মাসের বেশি টেকে না। আবার ব্রেক আপ জোনে যাই। আবার প্রেম। অভিনেত্রীর জন্য এটা খুব হেলদি।
সে কী!
আরে ব্রেকআপ হয়েছিল বলে ‘পটাকা’-র মতো গান করতে পেরেছি। যা সুপারহিট।
পশ্চিমবঙ্গের নুসরতকে চেনেন?
খুব ভাল করে। উনি তো নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ওঁর জয় হোক।
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)