বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্তের জন্মদিনে কি তবে ঘুচবে দূরত্ব! গ্রাফিক : আনন্দবাজার অনলাইন।
যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের সম্পর্কে দূরত্বের কথা টলিপাড়ায় এখন সকলেই জানেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই ঘোষণা করেননি দম্পতি। জানা গিয়েছে, যিশু-নীলাঞ্জনার সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে। সেই কারণে টলিপাড়ায় একদা চর্চিত দম্পতি এখন বিচ্ছেদের পথে। দুই মেয়ে রয়েছে তাঁদের। সারা সেনগুপ্ত ও জ়ারা সেনগুপ্ত। এক জন যৌবনে পা দিয়েছেন অন্য জন কিশোরী। তবে দুই বোনের জন্মদিন পর পর। ছোট বোন জ়ারা জন্মদিন ছিল দিন দুয়েক আগে। দিদি সারার জন্মদিন ১১ নভেম্বর। এই মুহূর্তে নীলাঞ্জনার জীবন আবর্তিত হচ্ছে দুই মেয়েকে ঘিরে। তবে বড় মেয়ে সারাই যেন নীলাঞ্জনার ভরসা জায়গা, আশ্রয়। তাই সারার জন্মদিনে মেয়েকে খোলা চিঠি দিলেন নীলাঞ্জনা। ছোট মেয়ের জন্মদিনটা পালন করেছিলেন ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’র সেটে। সে বার নীরব ছিলেন যিশু। বড় মেয়ে সারার জন্মদিনে অনেকেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া আসেনি বাবার তরফে।
টলিউডে ‘পাওয়ার কাপল’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন সেনগুপ্ত দম্পতি। তাঁরাও যে কোনও বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে পারেন, ভাবতে পারেননি অনুরাগী বা সহকর্মীরাও। তাই এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিস্মিত সকলে। তার পর থেকেই যিশু-নীলাঞ্জনার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁদের বিচ্ছেদ আটকানোর নানা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তেমন সুফল মেলেনি। নীলাঞ্জনা যে একাই সব দিক সামলাচ্ছেন, তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেই একলা চলার পথে মেয়ে সারাই যেন ভরসার জায়গা। তাই নীলাঞ্জনা লেখেন, ‘‘কখনও তুমি আমার অস্থিরতা দেখো, কখনও আবার অভিযোগ করি তোমার কাছে। কখনও আবার কাঁদি তোমার কাঁধে মাথা রেখে। তবে যত তুমি বড় হয়েছ, আমি বুঝেছি তুমি আমার থেকেও অনেক বেশি দৃঢ়চেতা। মাঝেমধ্যে আমি আমার দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলি বলে ভেবে বসো না আমি দুর্বল।’’ ১৯-এ পা দিলেন সারা। জন্মদিনটা মা, বোনের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। তবে সাবালক হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হয়ে মার্জার সরণিতে হেঁটে ফেলেছেন তিনি। তাই নীলাঞ্জনা শেষে সংযোজন করেন, ‘‘ভেবো না তোমাকে রক্ষা করতে পারব না। তুমি আমার রাজকন্যা, তোমার জন্য সবার প্রথমে আমিই গলা ফাটাব। সে তুমি যে ক্ষেত্রেই কাজ করো না কেন।’’