‘তারকা হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, অভিনেতা হওয়া আমার হাতে’

বললেন আদৃত রায়। আসছে তাঁর দু’টি বড় মাপের ছবিনবাগতদের জন্য অঁসম্বল কাস্টে কাজ করা কি নিরাপদ বিকল্প? সাফল্যের ভাগীদার হওয়া যায়, অথচ ব্যর্থতার দায় নিতে হয় না... প্রশ্নটি শেষ হতে না হতেই আদৃতের জবাব, ‘‘ব্যর্থতার দায় নিতে আমি তৈরি। আমার ডেবিউ ছবি ‘নূর জাহান’ একেবারে চলেনি। এই দু’টি ছবিতে অন্য তারকাদের পাশে আমারও কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। তাই সেফ ভেবে কিছু করিনি।’’

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০০:০১
Share:

ছবি: অর্পিতা প্রামাণিক

রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশনে ডেবিউ করেছিলেন আদৃত রায়। এ বার রাজের পরিচালনায় ‘পরিণীতা’য় অভিনয় করছেন। দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি। নবাগতদের জন্য অঁসম্বল কাস্টে কাজ করা কি নিরাপদ বিকল্প? সাফল্যের ভাগীদার হওয়া যায়, অথচ ব্যর্থতার দায় নিতে হয় না... প্রশ্নটি শেষ হতে না হতেই আদৃতের জবাব, ‘‘ব্যর্থতার দায় নিতে আমি তৈরি। আমার ডেবিউ ছবি ‘নূর জাহান’ একেবারে চলেনি। এই দু’টি ছবিতে অন্য তারকাদের পাশে আমারও কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। তাই সেফ ভেবে কিছু করিনি।’’

Advertisement

থিয়েটারের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা আদৃতের প্যাশন অভিনয়। তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? ‘‘আমার দু’টি ছবি রিলিজ় করেছে। তাতে যে বিশাল কিছু পরিবর্তন এসেছে, সেটা নয়। তবে তারকা হওয়া ভাগ্যের। ভাল অভিনেতা হওয়া আমার হাতে রয়েছে।’’ ব্যর্থতায় তিনি মুষড়ে পড়েন না। বরং ব্যাক-আপ প্ল্যানও তৈরি। ‘‘ছবি যদি না চলে থিয়েটার করব। গান-বাজনা তো আছেই। টাকা রোজগারের পথের অভাব নেই,’’ হাসতে হাসতে বলছিলেন তিনি। এতটা পজ়িটিভ থাকেন কী ভাবে? ‘‘ওটা আমার মধ্যেই রয়েছে। ছবিতে আমার বিশ্বাস থাকলে, তবেই আমি দর্শককে সেটা

বোঝাতে পারব।’’

Advertisement

ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং দেবের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে খুব একটা নার্ভাস ছিলেন না আদৃত। ‘‘ঋত্বিকদার সঙ্গে আমার বেশি দৃশ্য নেই। দেবদার সঙ্গে ছবির অনেকটা অংশ জুড়েই ছিলাম। অভিনেতাদের চেয়েও আমি রাজদা এবং কমলদার (কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়) ইনপুটগুলোয় বেশি নজর দিচ্ছিলাম।’’ দেব এবং জিতের পরে নতুন প্রজন্মের কেউই বাংলা ছবির কমার্শিয়াল নায়ক হিসেবে ছাপ ফেলতে পারেননি। মানতে চাইলেন না আদৃত, ‘‘সকলেরই কোনও না কোনও স্ট্রেংথ রয়েছে। সব ছবি যে চলবে, সেটা তো হয় না। আর কমার্শিয়াল হিরোর ধারণাও বদলাচ্ছে।’’

এখনকার অভিনেতাদের ইমেজ তৈরিতে সোশ্যাল মিডিয়ারও গুরুত্ব অনেক। ‘‘ক্লাস এইটে ফেসবুক খুলেছিলাম। সেটাই এখনও চলছে। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরে টুইটার-ইনস্টাগ্রাম খোলার পরামর্শ অনেকে দিয়েছিল। ইনস্টাগ্রাম খুলেই ডিলিট করে দিয়েছি। মূলত ছবির প্রচারেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। ব্যক্তিগত জীবন প্রচার করতে চাই না। আর কেউ যদি খুব ভাল একটা ছবি তুলে দেন, যেটা দেখলে আমার ফলোয়ার বাড়বে, তখনই শুধু সেটা ফেসবুকে পোস্ট করি,’’ মন্তব্য তাঁর।

সাফল্য-ব্যর্থতার গণ্ডি ছাড়িয়ে আদৃতের লক্ষ্য, তাঁর মেন্টর রাজদার কাছ থেকে কমপ্লিমেন্ট পাওয়া। ‘‘এখনও অবধি ‘ভাল করেছ’ বলেনি রাজদা। সে দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement