ইন্দ্রাশিস ও মানালি। ফাইল চিত্র।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিকে মানালি দে, এ খবর সবার জানা। একদম টাটকা খবর, সেই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ৪ বছর পরে ছোট পর্দায় ফিরছেন ইন্দ্রাশিস রায়। স্টার জলসার নেটমাধ্যম বলছে, ম্যাজিক মোমেন্টস-এর ম্যাজিক আরও বাকি। প্রযোজনা সংস্থার নতুন ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’র প্রোমো সদ্য দেখা গিয়েছে সেখানে। প্রচারিত ঝলক বলছে, এঁরা ছাড়াও রয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র, ময়না মুখোপাধ্যায়, মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তাবড় তারকারা। এবং এই প্রথম ধারাবাহিকের কেন্দ্রে থাকছে একটি গাড়ি! চমক এখনও বাকি। মানালি আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছেন, এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোট পর্দা পেতে চলেছে ইন্দ্রাশিস আর তাঁর নতুন জুটি।
ম্যাজিক মোমেন্টস মানেই বড় পরিবার-সুখী পরিবারের গল্প। প্রোমো বলছে, এই ধারাবাহিকও তার ব্যতিক্রম নয়। লীনা সৃষ্ট ‘খড়কুটো’র মতোই এই পরিবারও মারাত্মক জীবনমুখী। একান্নবর্তী সংসারে নতুন গাড়ি এসেছে। কী ভাবে তার যত্নআত্তি করবে? এই ভাবতে ভাবতেই হিমশিম খেয়েছেন পরিবারের সবাই। বাড়িতে গ্যারাজ নেই। ফলে, ধুলোবালি থেকে ঝাঁ চকচকে নতুন গাড়িকে বাঁচাতে মশারি টাঙানোর ব্যবস্থা তাঁদের! চালক হিসাবে বাড়িতে উপস্থিত লালন ওরফে ‘লাল’। র্যা প গায়ক হিসাবে তার আবার বেশ নামডাক। লালনকে নিয়ে বাড়ির সবাই যখন বেশ উত্তেজিত, তখনই আসরে টুনি। বাড়ির সদস্যদের কথায়, সে আদতে বাড়ির ম্যানেজার।
এ দিকে প্রথম সাক্ষাতেই জোর টক্কর চালক আর ম্যানেজারের মধ্যে। প্রোমো তাই দুটো প্রশ্ন তুলেছে, মশারি কি অবাঞ্ছিত ধুলোকণা ঢাকতে পারবে? নাকি নতুন গাড়ি অতিমারির ভয় সরিয়ে প্রেমের ধুলোকণা ছড়িয়ে দেবে লালন-টুনির জীবনে?
উত্তর অধরা। তবে মুখ খুলেছেন ধারাবাহিকের ২ অভিনেতা বাদশা মৈত্র, মানালি দে। ‘খড়কুটো’য় অভিনয়ের জেরে বাদশা আপাতত পুটুপিসির স্বামী ‘সুকল্যাণ কাকু’। জানালেন, ‘‘লীনাদির সঙ্গে কাজ করার সুবিধে, নিত্যনতুন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া। আমি নতুন পরিবারের ছোট ছেলে। সুকল্যাণের থেকে এক দম আলাদা। বাকিদের মতোই নতুন গাড়ি নিয়ে আমার উল্লাসও কম নয়, প্রোমো তার প্রমাণ।’’ চরিত্রের পাশাপাশি ‘খড়কুটো’ আর ‘ধুলোকণা’ গল্পের দিক থেকেও কতটা ভিন্ন? বাদশার বক্তব্য, সংসারে যেমন অজস্র স্তর, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনিতেও তেমনই মুঠো মুঠো রং। তাই কিছু না কিছু পার্থক্য থাকবেই। তবে সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
মানালির উচ্ছ্বসিত বিপরীতে ইন্দ্রাশিস রায়কে পেয়ে। ছোট পর্দায় ইন্দ্রাশিসের শেষ কাজ ‘প্রেমের কাহিনী’। ‘‘আমি আর ইন্দ্রাশিস দর্শকদের মন ভাল করতে নতুন জুটি উপহার দিতে চলেছি’’, দাবি মানালির। এই ধারাবাহিকে তিনিই ‘টুনি’। প্রোমো বলছে, তাঁর চরিত্রে বড় পর্দার ছায়া। সত্যিই? মানালি বলছে, প্রচারিত ভিডিয়ো দেখে তেমনটা মনে হলেও আসলে তা নয়। সেটা ধারাবাহিক শুরু হলেই বোঝা যাবে।