শহরতলির মেয়ে অপু ডাকাবুকো
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপু’ ট্রিলজি জানিয়ে দেয় 'অপু' জীবনে অপরাজিত। একুশের ‘অপু’ও তাই-ই। পার্থক্য একটাই। এই অপু পুরুষ নয়, নারী। তার জার্নি বড় পর্দার বদলে ছোট পর্দায়। ৩০ নভেম্বর সোম থেকে শনি রাত সাড়ে আটটায় যার নিয়মিত দেখা মিলবে জি বাংলা চ্যানেলে। নতুন এই ধারাবাহিকের নাম ‘অপরাজিতা অপু’। ২১-এর ‘অপু’-ও যে বিনা লড়াইয়ে ময়দান ছাড়বে না কোনও মতেই, সে কথা বলে দিচ্ছে মেগার প্রোমো।
শহরতলির মেয়ে অপু ডাকাবুকো। মধ্যবিত্ত মানসিকতার গণ্ডি পেরিয়ে পড়াশোনা শিখে বাবার পাশে দাঁড়াতে চায়। হাল ধরতে চায় সংসারের। ভয় পায় না কাউকে, কোনও পরিস্থিতিকে। তাই পণের জন্য দিদির শ্বশুরবাড়ি বিয়ে ভেঙে দিতে চাইলে সটান দ্বারস্থ হয় প্রশাসনের।
সেই অপু চাকরির ইন্টারভিউ দিতে দিন কয়েকের জন্য এসেছে দিদির শ্বশুরবাড়িতে। ইন্টারভিউয়ের দিন সকালে দিদির দেওর দীপুর খাওয়ার চেয়ার দখল করতেই প্রথম গণ্ডগোল বাধে দিদির শাশুড়ির সঙ্গে। তিনি অপুর বাবার মতোই প্রাচীন, সংস্কারপন্থী।
তাঁরও মত, বাড়ির মেয়ে-বউদের চাকরির কোনও প্রয়োজন নেই। ছেলেদের খাওয়া হলে তবে তারা খেতে বসবে। এই হুকুম কি অতিথি অপুর জন্যও? চাকরির পেতে ব্যাকুল মেয়েটি যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় তখনই তার পাশে দাঁড়ায় দীপু।
আরও পড়ুন: কলকাতায় শ্যুটিং করতে এলেন অভিষেক বচ্চন, সঙ্গে চিত্রাঙ্গদা সিংহ
দর্শকেরা আন্দাজ করে নিয়েছেন, এর পরেও অপু ‘অপরাজিতা’ না হয়ে থাকে কী করে?
ধারাবাহিকের পরিচালক সুশান্ত দাসের দাবি, জি বাংলা বরাবরই নারীশক্তির জয়গান গায়। নতুন ধারাবাহিকও তার ব্যতিক্রম নয়। আজকের দিনেও কত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগোতে হয় নারীকে, সেটাই দেখানো হবে ‘অপরাজিতা অপু’তে।
মেগায় অপু এবং দীপুর রোম্যান্স জমবে সুস্মিতা দে আর রোহন ভট্টাচার্যের হাত ধরে। এই ধারাবাহিক দিয়েই আবার অভিনয়ে ফিরলেন কোভিডজয়ী সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অপুর বাবা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সোমা চক্রবর্তী, শৈবাল ভট্টাচার্য, নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব সরকার প্রমুখ।
প্রযোজনায় টেন্ট সিনেমা।
আরও পড়ুন: ‘ধুম ২’ ছবিতে সেক্সি লুক তৈরি করার গোপন তথ্য ফাঁস করলেন ‘মিস্টার এ’ ওরফে হৃতিক