শ্রুতি দাস
সপ্তাহান্তে নেটমাধ্যম সরগরম। বিশেষ এক মহিলার ‘সন্ধান’ জানতে চেয়েছেন শ্রুতি দাস! শুধু তাই-ই নয়! ইনস্টাগ্রামে তাঁর কথোপকথনও তুলে ধরেছেন, যাতে পরিচয় জানতে সুবিধে হয়। কেন এমন করলেন শ্রুতি?
নেটমাধ্যম বলছে, এই দিন তিনি ফের এক নেটাগরিকের কুৎসিত আক্রমণের শিকার। ওই নেটাগরিকের মতে, শ্রুতি যদি অভিনয়ের সুযোগ পান তা হলে তিনিও অনায়াসে ডাক পেতে পারেন। কারণ, তিনি শ্রুতির থেকে অনেক বেশি সুন্দরী! দাবি, ‘ইতিমধ্যেই ডাক পেয়েছি। কিন্তু আমিই বাতিল করেছি'। জানাতে ভোলেননি, অভিনয় দুনিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। শ্রুতি দাসের সঙ্গে তিনি নাকি ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে পার্টিও করেছেন! এর পরেই তাঁর সন্ধান চেয়ে ইনস্টাগ্রামে গোটা ঘটনা তুলে ধরেন শ্রুতি।
তখনই শ্রুতির সমর্থনে অন্য এক নেটাগরিক প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রূপের সঙ্গে গুণ থাকাটাও আবশ্যিক। শ্রুতির সেটা আছে। সেই জোরেই তিনি অভিনয় দুনিয়ায়। শ্রুতিকে সমর্থন করতেই রাগে ফেটে পড়েন আগের নেটাগরিক। জানান, তাঁর ননদের বাড়িতে নাকি শ্রুতি প্রায়ই আসেন। ফলে, ইন্ডাস্ট্রির সব কিছুই ভাল করে জানেন তিনি। শেষে শ্রুতিকে তাঁর ব্যঙ্গ, ‘মেকআপ করে কাক কখনও ময়ূর হয়ে যায় না!’
এর পরেই মুখ খোলেন শ্রুতি। জানতে চান, ‘ইনি কার বৌদি? ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবের কেউ এঁর চেনা? এঁর যে ননদের বাড়িতে আমার আনাগোনা তিনি কে?’ অভিনেত্রী এখানেই থামেননি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, মিথ্যে বলছেন নেটাগরিক। ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে তিনি জ্ঞানত কোনও দিন যাননি। শ্রুতির ব্যঙ্গ, তাঁর পরিচিত কেউ তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় নিয়ে গিয়ে থাকলে দয়া করে যেন জানান অভিনেত্রীকে।
বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ‘দেশের মাটি’-র ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘সমাজের কাছে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, নায়িকা মানে কী? তাঁকে অভিনয় করতে জানতে হয়? নাকি ফর্সা, সুন্দরী হতে হয়?’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি কোনও দিন এই ধরনের অন্যায় চুপচাপ হজম করবেন না। যত বার এ রকম ঘটবে তত বার তিনি প্রতিবাদ জানাবেন। তাঁর ফ্যান ক্লাবও তাঁর পাশে আছে।
নেটাগরিকের খোঁজ নিতে গিয়ে শ্রুতি জেনেছেন, আক্রমণকারী নেটাগরিক এক মেয়ের মা। সেই জায়গা থেকে তাঁর পাল্টা ব্যঙ্গ, ‘‘সন্তানের সত্যিই মন্দ ভাগ্য। তার মা অন্য মেয়েদের এ ভাবে আক্রমণ করেন!’’ শ্রুতির তোপ, এই মানসিকতা নিয়ে কোনও মা তাঁর সন্তানকে কী করে সঠিক ভাবে মানুষ করবেন?