নীনা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
সময়টা আশির দশক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে বলি অভিনেত্রী নীনা গুপ্তের সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় দেশ। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। তবে কন্যাসন্তান মাসাবার জন্মের সময় তাঁর সাহসী পদক্ষেপের জন্য অভিনেত্রীকে কুর্নিশও জানিয়েছিলেন কেউ কেউ।
পরিস্থিতির কারণে একসঙ্গে জীবন কাটানো হয়নি। মাসাবাকে একা হাতেই মানুষ করেছেন নীনা গুপ্ত। প্রতিনিয়ত লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রায়শই তাঁর মনে হয়, তাঁর জীবনে সুসময়ের তুলনায় কঠিন পরিস্থিতির দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। প্রত্যেক বার ভেবেছিলেন, এই বুঝি শেষ হয়ে গেল সব কিছু! সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন নীনা।
পর্যাপ্ত অর্থ আর মানসিক শক্তি থাকলে সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, মত নীনার। কিন্তু এই দু’টি বিষয়ের অভাব থাকলে মানুষ পাশে দাঁড়াতে ইতস্তত বোধ করেন। তাঁদের মনে হয়, এই বুঝি টাকা চেয়ে বসবে কিংবা মানসিক ভাবে পাশে থাকতে বলবে। নীনার কথায়, “মাসাবার জন্মের সময় কারও কাছে কিছু চাওয়ার ছিল না আমার। একমাত্র এই কারণেই সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও যোগ করলেন, “আমি যে ভাবে বড় হয়েছি, দারিদ্রের মধ্যেও দিন কাটাতে পারি। দুটো রুটি বানিয়ে খেতে পেলেই হল। বিলাসবহুল জীবন কাটাতে না পারলে অসুবিধা হবে, এমন নয়।”
বর্তমানে যখন পিছনে ফিরে তাকান, বেশ অবাক হন, কী ভাবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলেন তিনি!” তিনি বললেন, “মাসাবার জন্মের সময়টা আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময়।” কিন্তু তিনি এ-ও জানালেন, তাঁর জীবন তাঁকে সেই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছিল। অন্য মহিলাদেরও যে এই একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, তা জরুরি নয়। তিনি মনে করেন, সকলে এই ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে পারবেন, এমনও নয়।