সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং আয়ুষ্মানের কবিতা। ছবি: পিটিআই
পাঁচ স্তবকের বেশ বড় একটা কবিতা। লিখেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। শুক্রবার ৬৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে ‘অন্ধাধুন’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে তাঁর নাম। তার পরেই ইনস্টাগ্রামে ওই কবিতা পোস্ট করেছেন আয়ুষ্মান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং তাঁর পোস্ট। সেখানে ধরা আছে তাঁর যাত্রা। সেই যাত্রা— যেখানে রেডিও জকি আয়ুষ্মান থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন তারকা আয়ুষ্মান খুরানা। লিখেছেন—
‘‘...উঠে গিয়ে পড়েছি, পড়ে গিয়ে উঠেছি। চলেছি। উড়েছি।
সেই সব হোঁচট খাওয়ার খাতিরেই
আমার কাছে এই জাতীয় পুরস্কার।’’
আয়ুষ্মানের জন্ম চণ্ডীগড়ে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক আয়ুষ্মান সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। জীবনের প্রথম বেশ কয়েক বছর থিয়েটারে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের টানেই চণ্ডীগড় থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। পোস্ট করা কবিতায় আয়ুষ্মান ফিরে গিয়েছেন অতীতের সেই দিনে। লিখেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির কামরায় মুম্বই এসেছিলেন। আজও সেই সফর জারি।
২০০৪ সালে আয়ুষ্মান এমটিভি রোডিজ-এর সেকেন্ড সিজনে জয়ী হন। কয়েক বছর সঞ্চালনার পরে অভিনয় শুরু ২০১২ সালে, প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনার’-এই বাজিমাত আয়ুষ্মানের। এর পর ‘দম লাগাকে হাইসা’, ‘বরেলী কি বরফি’, ‘বধাই হো’-র সঙ্গে এগিয়েছে আয়ুষ্মানের কেরিয়ারগ্রাফ। সম্প্রতি ‘আর্টিকল ১৫’-তেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর কাজ। শ্রীরাম রাঘবনের পরিচালনায় ‘অন্ধাধুন’-এ আয়ুষ্মানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তব্বু ও রাধিকা আপ্তে।
#NationalAward #66thNationalAwards
A post shared by Ayushmann Khurrana (@ayushmannk) on
এ বছর আয়ুষ্মান অভিনীত ‘বধাই হো’-ও জাতীয় মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছে সেরা পারিবারিক বিনোদনমূলক ছবি বিভাগে। সে কথা উল্লেখ করেছেন আয়ুষ্মান। জানিয়েছেন, দু’টি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত ছবির অংশ হতে পেরে তিনি রোমাঞ্চিত। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত সম্মানের থেকে এই প্রাপ্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, এই দু’টি ছবির পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রমাণ করে যে, মানুষ এমন ছবি দেখতে চান যা মনোরঞ্জন করে, আবার ভাবতেও শেখায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরেও কেন প্রকাশ্যে আনছেন না স্বামীকে? রাখি বললেন...
আরও পড়ুন: তাঁর পরের ছবি নিয়ে জল্পনা বিস্তর, মুখ খুললেন শাহরুখ
আবিষ্কারের লক্ষ্যে তাঁর এই যাত্রা চলতেই থাকবে। জানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা। দর্শককে আরও হলমুখী করতে জারি থাকবে তাঁর প্রচেষ্টা। কারণ, পথ চলার প্রথম দিনটার হাজার হাজার স্বপ্নের মতো এখনও তাঁর দু’চোখে ভিড় করে আছে গভীর আশা।