হার্দিক পাণ্ড্য ও নাতাশা স্তানকোভিচ। ছবি: সংগৃহীত।
বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য ও নাতাশা স্তানকোভিচ। বহু জল্পনার পরে নিজেরাই সমাজমাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। বিচ্ছেদের কারণ স্বরূপ জানা যায়, হার্দিক নাকি নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। সম্পর্কে বহু বার বোঝাপড়া তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন নাতাশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও হাল ছেড়ে দেন। দাঁড়ি পড়ে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে। প্রথম দিকে এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে সময় লেগেছিল নাতাশার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন সার্বিয়ার মডেলের ঘনিষ্ঠ সূত্র।
বিচ্ছেদের পরেই সার্বিয়ায় উড়ে গিয়েছিলেন নাতাশা। কিন্তু দ্রুত ভারতে ফিরে আসেন তিনি। বেশ কিছু কাজ রয়েছে তাঁর হাতে। ভারতে ফিরে ইতিমধ্যেই একটি কাজের শুটিং শেষ করেছেন নাতাশা।
নাতাশার ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদমাধ্য়মকে বলেছেন, “নাতাশা এই মুহূর্তে কাজেই মন দিতে চান। কাজের জন্যই সার্বিয়া থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। কিছু দিন আগেই চণ্ডীগড়ে একটি নাচের শুটিং সারলেন। হার্দিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে এটাই ওঁর প্রথম কাজ। বাছাই করে কাজ করছেন নাতাশা। নিজেকে কাজের মধ্যে সঁপে দিয়েছেন তিনি। এই নাচের ভিডিয়ো সাড়া ফেলবে।”
সেই নাচের শুটিংয়ের একটি ঝলক সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। ২০২০-তে শেষ কাজ করেছিলেন নাতাশা। তার পরে শুধুই হার্দিকের সঙ্গে সংসারে মন দেন তিনি। কিন্তু বিচ্ছেদের পরে ফের কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাতাশা। কিছু দিন আগেই দিশা পটানির চর্চিত প্রেমিক আলেকজ়ান্ডারের সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন নাতাশা। সেখানে গিয়ে দু'জনকে জলকেলিতে মাততেও দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়োও ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ৩১ মে গাঁটছড়া বাঁধেন হার্দিক এবং নাতাশা। কোভিডের মাঝে জাঁকজমক ছাড়াই আইনি মতে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। সেই বছর ৩০ জুলাই জন্ম হয় পুত্রসন্তান অগস্ত্যের। পরে ২০২৩ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি উদয়পুরে বিয়ের উৎসব করেন হার্দিক-নাতাশা। পরিবার, বন্ধু এবং পুত্র অগস্ত্যকে নিয়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন তাঁরা।