ডিরেক্টর্স অ্যাক্টর-এ কেন ঝোঁক শিবু-নন্দিতার?
ছবি তৈরি পদ্ধতি ঠিক স্বপ্নের কারখানা নয়। চিত্রনাট্য লেখা থেকে ছবির সম্পাদনা— প্রতি পদক্ষেপে হিসেব করে চলতে হয়। যতটা খরচ করে প্রযোজনা, তার সবটা তুলে আনতে হবে তো! বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ-নন্দিতা সেই মন্ত্রেই চলেন। তাই বোধ হয় জনপ্রিয়তা এবং উৎকর্ষ একসঙ্গে ধরা দেয় তাঁদের কাজে।
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে পরিচালনার সাত-সতেরো নিয়ে কথা বলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়। জানালেন, ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’, ‘হামি’, ‘গোত্র’, ‘কণ্ঠ’ কিংবা ‘বেলাশুরু’— তাঁদের প্রত্যেক ছবিরই প্রস্তুতি পর্ব ছিল জুয়া খেলার মতোই অনিশ্চয়তায় ভরা, নিরীক্ষামূলক। আর চরিত্রের মাপে অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাই? সে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সে দায়িত্ব নন্দিতা আর শিবপ্রসাদ দুজনেই সামলান। দু’জনের পছন্দও এক। আড্ডায় এক দর্শকের প্রশ্ন ছিল, অপরাজিতা না ঋতুপর্ণা, কাকে বেশি পছন্দ তাঁদের? পরিচালক জুটি হেসে জানান, দু’জনকেই। যে যাঁর নিজের ভূমিকায় দারুণ কাজ করেন।
এর পরের প্রশ্ন আরও খানিক তীক্ষ্ণ। কেমন অভিনেতা পছন্দ নন্দিতা-শিবুর? ‘ডিরেক্টর্স অ্যাক্টর’? অর্থাৎ, যাঁরা পরিচালকের কথা মতো অভিনয় করে যান? নাকি যাঁরা নিজেরা ক্রমাগত উদ্ভাবন করে যেতে থাকেন কাজের মধ্যেই? নন্দিতা তৎক্ষণাৎ উত্তর দেন, ‘‘অবশ্যই ডিরেক্টরস অ্যাক্টর।’’
নির্দেশনা নিয়ে নিজেদের ধারণা কতটা স্পষ্ট, আড্ডায় সেটা আরও এক বার বুঝিয়ে দিয়েছেন এই জুটি। পরিচালক হিসেবে তাঁরা যা বলবেন, শ্যুটিং ফ্লোরে তাই সেটাই শেষ কথা। আর সেটাকেই একেবারে নিখুঁত করে পর্দায় আনতে জুড়ি নেই ডিরেক্টর্স অ্যাক্টরদের!