প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-তাপস পাল-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
তিনি থাকলে আজ তিনি ৬৩। দেড় বছর ধরে তাঁর অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন তাঁর স্ত্রী-কন্যা। ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মদিনে প্রয়াত তাপস পালকে আরও এক বার মনে করলেন তাঁর দুই খুব কাছের সহ-অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিনেতার বাড়িতে এ দিন ফুলের তোড়া পাঠান প্রসেনজিৎ। একই সঙ্গে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘দাদার কীর্তি’ হোক বা ‘গুরুদক্ষিণা’... ‘নয়নের আলো’ বা ‘ত্যাগ’... তাপসের প্রতিটা সিনেমা তার অসাধারণ শিল্পীসত্তা তুলে ধরেছে আমাদের সামনে। তাপসের স্ত্রী নন্দিনী পাল পরে ফেসবুকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান প্রসেনজিৎকে। লেখেন, ‘ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করার জন্য। আজ সকালে তোমার পাঠানো ফুলগুলো আমি তাঁকে দিয়েছি’।
পেশাগত প্রতিযোগিতা থাকলেও তাঁরা যে খুব ভাল বন্ধু ছিলেন, এ কথা নানা সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘কাকাবাবু’। ‘পথভোলা’, ‘সংঘর্ষ’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘তুমি যে আমার’ সহ একাধিক ছবিতে পর্দা ভাগ করে নেওয়ার মতোই কাজের শেষে আড্ডাও দিতেন তাঁরা।
এ দিন ঋতুপর্ণা তাঁর বার্তায় জানান, ‘তাপসদা চলে গেলেন... একটা যুগের, একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অবসান। তাপসদার হাসি, অভিব্যক্তি আর অভাবনীয় অভিনয় ক্ষমতা বাঙালিকে চিরকাল আবিষ্ট করে রাখবে।' অভিনেত্রী পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানান নন্দিনীকেও। বলেন, ‘অনেক ভালবাসা পেয়েছি এই দুই ভালমানুষের থেকে।' প্রত্যুত্তরে নন্দিনী ফেসবুকে ঋতুপর্ণাকেও ভালবাসা জানিয়েছেন।
এ দিন আনন্দবাজার অনলাইনকে তাপসের মেয়ে সোহিনী বলেন, ‘‘বাবা চলে গিয়েছেন, এটাই আমার জীবনে সব থেকে বড় বিপর্যয়। বাকি সব দুর্যোগ, বিপর্যয় আমি লড়ে সামলে নিতে পারব।’’