আগেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বলেননি। সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনও সেই ধারার ব্যতিক্রম ছিল না।
তনুশ্রী দত্তর তোলা যৌন হেনস্থার অভিযোগের জবাবে নানা পটেকর সাংবাদিকদের সামনে এলেন এ দিন। সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণকে উপেক্ষা করে নানা বলেন, ‘‘আমার আইনজীবী এই বিষয়ে কথা বলতে বারণ করেছেন। না হলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে আমার আপত্তি নেই।’’
দশ বছর আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ়’ ছবির সেটে তনুশ্রীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছিলেন বলে নানার বিরুদ্ধে অভিযোগ। তনুশ্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউডের অনেক অভিনেত্রীই। সেই বিষয়ে নানার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি কী বলব? যা বলার দশ বছর আগে বলেছি। সেটা তখনও যেমন সত্যি ছিল, আজও তাই এবং ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবে।’’
তনুশ্রীর ঘটনা নিয়ে শোরগোল আরম্ভ হতেই কাঠগড়ায় উঠেছেন আরও কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যার মধ্যে রয়েছেন লেখক চেতন ভগত, স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান উৎসব চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্ট এবং গুরসিমরন খাম্বা। শেষ দু’জনকে সাসপেন্ড করেছে এআইবি।
রবিবার টুইটারে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা রজত কপূরও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন দু’জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে এক জনের দাবি, প্রায় দশ বছর আগে অভিনেতা সৌরভ শুক্লর নম্বর থেকে তাঁকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করতেন রজত। একটি ছবি শুট করার জন্য ফাঁকা বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট মহিলাকে। অন্য অভিযোগকারিণী পেশায় সাংবাদিক। তাঁর কথায়, ফোনে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ে তাঁকে নানা আপত্তিকর প্রশ্ন করেছিলেন রজত। টুইটে রজত লিখেছেন, ‘‘আমি সব সময়ে ঠিক কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবু যদি কখনও আমার কথায় বা কাজে কেউ আঘাত বা ব্যথা পেয়ে থাকেন, তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’
পরিচালক বিকাশ বহেলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন ফ্যান্টম ফিল্মসের এক মহিলাকর্মী। রবিবার সরব হয়েছিলেন তাঁর ছবির অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামাজ়ন প্রাইমের একটি সিরিজ় পরিচালনা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে বিকাশকে। জানা গিয়েছে, ‘সুপার থার্টি’র প্রচার থেকেও তাঁকে দূরে রাখা হবে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হৃতিক রোশনও, ‘‘প্রযোজকের কাছে আর্জি, অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠিনতম পদক্ষেপ করা হোক।’’
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী জানিয়েছেন, অভিযোগ জানানোর জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। দশ-পনেরো বছরের পুরনো ঘটনার অভিযোগও নির্দ্বিধায় জানানো যাবে।