প্রীতমের স্টুডিয়োতে বড় সড় চুরির ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত।
সুরকার প্রীতমের টাকা হাতিয়ে চম্পট! অভিযোগের তির তাঁরই সহযোগীর দিকে। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মালাড থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রীতম চক্রবর্তী। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি ছবির কাজের জন্য প্রযোজনা সংস্থার তরফে অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল প্রীতমের কার্যালয়ে। কিন্তু সেই টাকা আর প্রীতমের হাতে পৌঁছয়নি। সন্দেহের তির সুরকারের এক সহযোগী আশিস সিয়ালের দিকে। বছর বত্রিশের ওই যুবক গত কয়েক দিন ধরেই বেপাত্তা।
মুম্বইয়ের তারকারা যেন নিশানায়। দিন কয়েক আগেই সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলা হয়। অভিযোগ, চুরির উদ্দেশ্যেই তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। তার আগে অভিনেত্রী পুনম ধিঁলোর বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এ বার সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তী স্টুডিয়ো থেকে নগদ ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গেলেন তাঁরই সহযোগী, এমনই অভিযোগ।
সূত্রের খবর, গত ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ মধু মন্টেনার তরফে প্রযোজনা সংস্থার এক কর্মী গোরেগাঁওয়ে প্রীতম চক্রবর্তীর মিউজিক স্টুডিয়ো ‘ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ যান। ওই কর্মীর দাবি, তিনি প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেডাকে ৪০ লক্ষ টাকা নগদ-সহ একটা ব্যাগ দেন। সেই ব্যাগে ছিল ৫০০টাকার ৮ হাজারটি নোট ছিল। সে সময় স্টুডিয়োয় ম্যানেজার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আহমেদ খান এবং কমল দিশা। ছিলেন ওই স্টুডিয়োর কর্মী আশিস সিয়ালও। ম্যানেজার বিনীতের দাবি, ওই টাকা তিনি স্টুডিয়োতে রেখেই চলে গিয়েছিলেন প্রীতমের বাড়ি। কিছু কাগজপত্র সই করানোর প্রয়োজন ছিল। রাত সাড়ে ১০ টা স্টুডিয়োতে ফিরে আর ব্যাগটি খুঁজে পাননি তিনি।
পরিচালক আহমেদ খানের দাবি, সে দিন বিকেলে আশিস টাকার ব্যাগটি নিয়ে বেরিয়ে যান। তিনি বলেছিলেন, ব্যাগটি প্রীতমের বাড়িতে পৌঁছতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত প্রীতমের বাড়ি যাননি। তার পর থেকে আশিসের আর কোনও খোঁজ নেই। ফোনেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। প্রীতমের দাবি, ঘটনার পর সাত দিন তিনি অপেক্ষা করেছিলেন আশিসের জন্য। কারণ তাঁর সঙ্গে বহু বছর কাজ করছেন পরিচালক। কিন্তু আশিসের কোনও খোঁজ না মেলায়, পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত চলছে। আশিসের খোঁজ শুরু করেছে মালা়ড থানার পুলিশ।