নীতীশ-মুকেশ
লকডাউনের পরিবেশে ছোট পর্দায় ফিরে এসেছে কালজয়ী শো ‘রামায়ণ’ এবং ‘মহাভারত’। সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে মুকেশ খন্না কিছু দিন আগে বলেছিলেন, ‘‘ভালই হয়েছে। এই শো দেখে সোনাক্ষী সিংহের মতো অভিনেত্রী জানতে পারবেন, হনুমান কার জন্য সঞ্জীবনী আনতে গিয়েছিলেন...’’ গত বছর ‘কউন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় ট্রোলড হয়েছিলেন সোনাক্ষী। তবে মুকেশের জবাবে আপত্তি তুলেছেন ‘মহাভারত’-এর কৃষ্ণ অর্থাৎ নীতীশ ভরদ্বাজ।
নীতীশের কথায়, ‘‘ছোটদের সঙ্গে সহমর্মিতা দেখিয়ে কথা বললেই বড়রা শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারেন।’’ মুকেশের উদ্দেশে নীতীশের বক্তব্য, ‘‘শুধু সোনাক্ষীকে টার্গেট করা হয়েছে কেন? একটা গোটা প্রজন্মই ভারতের সংস্কৃতি, সাহিত্য, পুরাণ সম্পর্কে অবহিত নয়। অবশ্য এটা ওদের দোষ নয়। ১৯৯২ সালের পরে ভারতে আর্থিক দিক থেকে যে পরিবর্তন এসেছে, তাতে সকলেই ইঁদুর-দৌড়ে ছুটছে। জানা-শোনার সময় কই?’’
নতুন প্রজন্মের অজ্ঞানতার নেপথ্যে অভিভাবকদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন নীতীশ। ‘‘স্কুল থেকে ফিরে মা-বাবারা তো বাচ্চদের টিউশনে পড়াতে নিয়ে যান। সাহিত্য-ধর্মীয় শাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করার সময় কই?’’ আবার স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগে দেশের বিভিন্ন বোর্ডের সিলেবাসের ফাঁক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নীতীশ। মুকেশ ও নীতীশ সমসাময়িক হলেও তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক চোখে পড়ার মতো।