মুম্বইয়ের আবাসনে শেষ জীবন একাই কেটেছে পিটারের। বেঁচে থাকলে এ বছর ৯৪-এ পড়তেন তিনি। ফাইল চিত্র।
৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফার পিটার পেরেইরা। সিনেমার বিশেষ আবহের ক্ষেত্রেও বড় অবদান ছিল তাঁর। পিটারের মৃত্যুর খবর ভাগ করে নিয়ে শোকপ্রকাশ অভিষেক বচ্চনের। জানালেন, ‘কিংবদন্তি’র প্রয়াণে তিনি মর্মাহত।
বলিউডের বহু কালজয়ী ছবির নেপথ্যে ছিলেন পিটার। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (১৯৮৭), ‘শেষনাগ’(১৯৯০), ‘আজুবা’ (১৯৯১), ‘বর্ডার’ (১৯৯৭), ‘আ গলে লাগ যা’(১৯৭৩)-এর মতো ছবির চিত্রগ্রাহক হিসাবে কাজ করেছিলেন। বলিউডের আরও বহু ফ্যান্টাসি ছবিতে বিশেষ আবহ নির্মাণ করেছেন পিটার। তবে কালের নিয়মে সবাই তাঁকে ভুলে গিয়েছিলেন। খোঁজ নিতেন না সতীর্থরাও। জীবনের শেষ কুড়ি বছর অন্ধ হয়েই কাটিয়েছিলেন পিটার। বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতা ছেঁকে ধরেছিল সহৃদয় বৃদ্ধকে, এমনই জানান পরিচালক হেমন্ত চতুর্বেদী। তাঁরই তথ্যচিত্রে শেষ বার দেখা গিয়েছিল পিটারকে।
যদিও পিটারের মৃত্যুর খবর সর্বপ্রথম ভাগ করে নেন অভিষেকই। টুইটারে লেখেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আজ এক জন কিংবদন্তিকে হারাল। পিটার পেরেইরা আমাদের বলিউডের সিনেম্যাটোগ্রাফির অগ্রদূত ছিলেন। সর্বশ্রেষ্ঠদের মধ্যে এক জন!” পিটারের কথা স্মরণ করে অমিতাভ-পুত্র আরও লেখেন, “আমি ছোটবেলায় আমার বাবার সিনেমার সেটে তাঁকে দেখেছি। এখন মনে পড়ে দয়ালু, প্রেমময়, উজ্জ্বল মানুষটিকে। শান্তিতে থাকুন, স্যর।”
এমনিতেই সিনেমার জগতে পরিচালক আর অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই সবাই চেনেন। তিল তিল করে ছবির পূর্ণাঙ্গ রূপ ফুটিয়ে তোলেন যাঁরা, তাঁদের নাম নজরে আসে না। দীর্ঘ ৬০ বছরের কর্মজীবন ফুরোতেই মানুষ যেমন পিটারকে ভুলে ছিল, তেমনই একাকীত্ব গ্রাস করেছিল বর্ষীয়ান সিনেম্যাটোগ্রাফারকে। মুম্বইয়ের জুহুতে এক আবাসনে একাই থেকেছেন পিটার। বেঁচে থাকলে এ বছর ৯৪-এ পড়তেন তিনি, আক্ষেপ হেমন্তের।