কেন কাঁদতেন মৌনী রায়? ছবি: সংগৃহীত।
মৌনী রায়ের শরীরী হিল্লোলে ঘায়েল অনুরাগীরা। অভিনয় ও সৌন্দর্যের নিরিখে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু অভিনয় জীবনের প্রাথমিক দিনগুলিতে তাঁকেও চেহারা নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। মুম্বইয়ে পাড়ি দেওয়ার পরে দৈহিক গঠন ও সৌন্দর্য নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তাঁর দাবি, সেই সময় সুন্দর চেহারা ছাড়া বলিউডে টিকে থাকা খুব কঠিন ছিল। নায়িকাসুলভ চেহারা নয়, সেই কারণে সিনেমহলে আলোচনার কেন্দ্রে থাকতেন। পাশের ঘর থেকে সেই আলোচনা শুনেছেন একাধিক বার।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মৌনী বললেন, “তখন সবে হিন্দি ছবির জগতে আত্মপ্রকাশ করেছি। বয়স মাত্র ১৯। সেই সময় এত সমালোচনা সামলাতে পারতাম না। খুব কান্নাকাটি করতাম। কঠিন সময় ছিল।” শুরুতে ২-৩ বছর লড়াই করতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি আরও বলেন, “কী ভাবে রূপটান ও কেশসজ্জা করতে হয় জানতাম না। অভিনেত্রী হিসাবে কী ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করব, তা-ও বুঝতাম না। পরে ধীরে ধীরে সব শিখেছি।”
পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপলব্ধি, নিজেকে ভালবাসা জরুরি। আগে নিজেকে ভালবাসতে হবে, তবেই অন্যকে ভালবাসা যাবে। তাঁর কথায়, “প্রতিনিয়ত নিজেকে বেচারা ভেবে সহানুভূতির চোখে দেখলে কাজ করতে পারব না।” পরবর্তী কালে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা বিকাশের মাধ্যমে এই সব থেকে বেরিয়ে আসেন, জানালেন অভিনেত্রী।