Manomoy bhattacharya & Miss Jojo

মনোময়ের বক্তব্য উড়িয়ে দিলেন ‘জিঙ্গল’ গায়িকা জোজো, বিজ্ঞাপনের গান গাওয়া নিয়ে সংঘাত তুঙ্গে!

তাঁর বিজ্ঞাপনে গান গাইতে আপত্তি, আনন্দবাজার অনলাইনকে সাক্ষাৎকারে জানান মনোময় ভট্টাচার্য। গানের জগতে নিজের কৌলিন্য নিয়ে এই মত প্রকাশে ক্ষুব্ধ অন্য শিল্পীরা। পাল্টা জবাব দিলেন জোজো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ১৫:৪৫
Share:

মনোময়ের বক্তব্যে আপত্তি! পাল্টা জবাব দিলেন জোজো। ছবি: ফেসবুক।

‘‘সাবান, চানাচুর, লোহালক্কড়-এর বিজ্ঞাপনে গান গাইব না,’’ সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের সঙ্গীতে জীবনের রুচি নিয়ে মতপ্রকাশ করেন শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য। গায়কের এই মন্তব্যের ফলে ক্ষুব্ধ হন সঙ্গীতশিল্পীদের একাংশ। এমন মন্তব্য পড়ে বেশ আহত হন সঙ্গীতশিল্পী জোজো। ডাটা মশলা থেকে মিনু শাড়ি— নব্বইয়ের দশকের একাধিক হিট বিজ্ঞাপনের জিঙ্গল গেয়েছেন জোজো। তাই মনোময়ের এমন বক্তব্যে একেবারে সমর্থন করেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিলেন গায়িকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘জিঙ্গল (বিজ্ঞাপনের গান) গাওয়াটা কঠিন কাজ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যদি দর্শকের কাছে ক্লিক না করাতে পারেন, তাহলে আপনি ব্যর্থ। জিঙ্গল গাওয়া অপরাধ নয়, সেটা চানাচুরের হোক বা সাবানের। এটাই আমার মত।’’

গায়িকার মতে, ‘‘মনোময়দার মতো গুণী শিল্পীর এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়। আর কোনও কাজই তো ছোট নয়। মানুষের পছন্দ-অপছন্দ থাকে। কিন্তু, আমি যদি নিজেকে একজন প্লেব্যাক শিল্পী মনে করি, তা হলে প্রতিটা মুহূর্তে এতটা বাছাই করে গান গাওয়া সম্ভব নয়। তবে এটাও মানছি, অনেকেই রয়েছেন যাঁরা আইটেম নম্বর গান না। আমি ভাগ্যবান যেগুলো আমার ঝুলিতে এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশই হিট। ওই গানগুলোই আমাকে জায়গা করে দিয়েছে।’’

Advertisement

মনোময় সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি ‘ক্লাসের’ জন্য গান, ‘মাসের’ জন্য নয়। শিল্পীর এই বক্তব্যের একেবারে ভিন্ন মত জোজোর। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে আবার সাধারণ জনগণ (মাস) বাঁচিয়ে রেখেছেন। গত বছর আমার সঙ্গীত জীবনের ৪০ বছর হল। সাধারণ শ্রোতারা যদি না চাইতেন, তা হলে তো আমার সঙ্গীত কেরিয়ার এত দীর্ঘ হত না। ক্লাস ও মাস দুইয়ের পছন্দের জন্য এক জন শিল্পীর সঙ্গীতজীবন দীর্ঘ হয়। আসলে আমার মনে হল, যাঁরা ছোট তাঁরা দুঃখ পাবে। অনেক বড় শিল্পীরা রয়েছেন, যাঁরা আইটেম নম্বর গেয়েছেন এবং সেগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। কোনও কাজই ছোট না। সব কাজই সমান সম্মান পাওয়া উচিত। এক জন মেথরকেও তো ছোট করতে পারি না। যাঁর মনুষ্যত্ববোবোধ আছে, তিনি অন্য মানুষকে ছোট করবেন না। তবে আমাকে সামনাসামনি কেউ কখনও আধুনিক গানের শিল্পী বলে হেয় করেনি।’’

এই প্রেক্ষিতে শিল্পী মনোময়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। জোজো বলেন, ‘‘মনোময়দা আমাকে বলেছেন, কোনও শিল্পীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাননি। তবে এই ধরনের কোনও কোনও মন্তব্য শুনলে মনে হয়, আমাদের কাজগুলো কি ছোট মনে করছেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement