‘ভিটামিন এম’ নিয়ে মনামী
চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে ভিটামিনের তালিকায় নতুন সংযোজন, ‘ভিটামিন এম’! এই ভিটামিন খেলেই নাকি মন ফুরফুরে। শরীর সতেজ। নতুন ভিটামিনের আর কী গুণ? আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন ‘আবিষ্কারক’ মনামী ঘোষ।
প্রশ্ন: শহরে নতুন ভিটামিন! শহরবাসী মহাখুশি...
মনামী: (হাসতে হাসতে) তাই? আমিও। শুরুতে ভয় ভয় করেছে। কাজে নেমে দেখলাম, সবটাই বেশ হয়ে গেল। ভাল লাগছে।
প্রশ্ন: ব্যাপারটা মাথায় এল কী করে?
মনামী: নিজের মিউজিক ভিডিয়োর অনেক দিনের ইচ্ছে। সেই মতো পরিকল্পনা করতে করতে হঠাৎ সবাই বললেন, ‘‘তুই কেন গাইছিস না?’’ সবাই বলার পরে মনে হল, আন্তর্জাতিক তারকারা যদি গান-নাচ একসঙ্গে করতে পারেন তা হলে আমিও এক বার চেষ্টা করতেই পারি। আমার ওঁদের মতো ‘পারর্ফমা’র হওয়ার স্বপ্নও অনেক দিনের। সব মিলিয়েই ‘ভিটামিন এম’।
প্রশ্ন: মিউজিক ভিডিয়োর নাম ‘ভিটামিন এম’ কেন?
মনামী: আসলে ‘এম’ মানে তো অনেক কিছু। এম মানে মনামী। এম মানে মিউজিক বা গান। এম মানে মন-ও। আর মন ভাল থাকলে সব ভাল লাগে। গানও আসে। মনামীও সুযোগ পেলে গুনগুনিয়ে ওঠে। এ ভাবেই ‘ভিটামিন এম’ এল। পুরোটাই আমার ভাবনা (খুশির হাসি)
প্রশ্ন: আপনি অভিনয়ে বাঁচেন। নাচ তো পায়ে পায়ে জড়িয়ে। গলায় গান এল কবে?
মনামী: খুব আনন্দ হলে গাইও। হ্যাঁ, বাইরে সে ভাবে গাই না হয়তো। কিন্তু অনুষ্ঠানে দু’লাইন গেয়েছি। বন্ধুদের সঙ্গে উদ্যাপনেও আমায় গাইতে শুনেছেন অনেকে। ‘টাপাটিনি’র দৌলতে নাচের পাশাপাশি গানটাও গাইছি ইদানীং। তবে সবটাই অন্যের গান। সেখান থেকেই খুব ইচ্ছে, আমারও একটা গান হোক। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। গান লিখে দিলেন সোমরাজ। সুর দিলেন ম্যাক, মল্লার। এই প্রথম মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে গেয়ে ফেললাম।
প্রশ্ন: মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের বুক ঢিপঢিপ শুনতে পেয়েছিলেন?
মনামী: (হেসে ফেলে) অনেক ছোট বয়সে গান শিখেছিলাম। দু’বছর। তার পর যা হয়। চর্চা ছিল না। কিন্তু একেবারে বেসুরো হয়ে যাইনি। আবার এটাও ঠিক, মাইকের সামনে গান রেকর্ডিংয়ে এই প্রথম মনামী। তার আগে গান মুখস্থ করা। সেই গানের সুর গলায় বসানো। যা সাধারণত গায়ক-গায়িকারা করে থাকেন। একটা সময়ের পরে ভয় গিয়ে রোমাঞ্চ জাগল। পুরো যাত্রাটাই উপভোগ করেছি। সব মিটতেই এক রাশ তৃপ্তি।
প্রশ্ন: মনামীর অনুরাগীরা কী বলছেন?
মনামী: গায়িকা মনামীকে সবারই বেশ পছন্দ হয়েছে। গানটাও অন্য ধরনের। ‘পেপি সং’ যাকে বলে। গানের পাশাপাশি নাচের আলাদা ভিডিয়োও থাকছে। ‘টাপাটিনি’-তে সবাই যেমন নাচ দেখেছেন, এই নাচ তার একেবারে বিপরীত। তাই আশা, সব বয়সের দর্শক-শ্রোতা ‘ভিটামিন এম’ নিয়ে চনমনে হয়ে উঠবেন।
প্রশ্ন: তারকা বন্ধুরা দেখেছেন?
মনামী: গীতিকার, সুরকার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় শুনেছেন। শুনে প্রশংসাও করে বলেছেন, বেশ ভাল গেয়েছিস তো! তুই যে এত ভাল গাইতে পারিস, জানতামই না। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নাচের ভিডিয়োর টুকরো ঝলক দেখিয়েছি। শিবুদার ভাল লেগেছে।
প্রশ্ন: গানের দুনিয়ার বন্ধুরা তো তা হলে জোর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি!
মনামী: (হেসে ফেলে) এ বাবা! একেবারেই তা নয়। ওঁরা কত ভাল গান। আমি নিজেকে একেবারেই ‘গাইয়ে’ বলতে রাজি নই। বলতে পারেন, মনামী ঘোষ বিনোদনের টোট্যাল প্যাকেজ হয়ে ফিরছেন। যাঁর মধ্যে নাচ-গান-অভিনয়— সব কিছুর সহাবস্থান। পারর্ফমার হতে চেয়েছি। সেটাই হওয়ার চেষ্টা করছি। কারও সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। আমায় তাই ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।
প্রশ্ন: অভিনয়, নাচ, গান—পর পর সাজালে আগে পরে কে?
মনামী: একদম ঠিক সাজিয়েছেন। অভিনয় আমার প্রাণ। দীর্ঘ দিন এই পেশায় যুক্ত থাকার ফলে, মোটামুটি যে কোনও চরিত্র উৎরে দিই। এর পরেই নাচ। মনের খুশিতে নাচি। এখন সেটাও আমার পেশা হয়ে গিয়েছে। মঞ্চে, অনুষ্ঠানে নাচের আমন্ত্রণ পাই। গান নতুন দোসর। ওর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে হবে। তাই ও আপাতত তৃতীয় স্থানে (হো হো হাসি)।