‘কে আপন কে পর’-এর তন্দ্রা।
তাঁর সঙ্গে আপনার যখনই দেখা হয় তখনই ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। ভাল মানুষদের বিপদে ফেলতে জটিল আইডিয়া বের করছেন অহরহ। সৌজন্যে সান্ধ্য সিরিয়াল।
কখনও ‘কে আপন কে পর’-এর তন্দ্রা, কখনও বা ‘জীবন জ্যোতি’র সংযুক্তা। এ হেন মোনালিসাকে নেগেটিভ চরিত্রে দেখেই অভ্যস্ত আম-দর্শক। দীর্ঘদিন খল চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। প্রশংসাও পাচ্ছেন। কিন্তু সেই নেগেটিভি কি ব্যক্তিগত জীবনে এফেক্ট করে?
বিষয়টা একেবারেই উড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘নট অ্যাট অল। আমি সিরিয়ালটা টেকনিক্যালি করি আর থিয়েটারটা মেন্টালি।’’
আরও পড়ুন, দিতিপ্রিয়ার মুকুটে যোগ হল নতুন পালক
গত ছ’বছর ধরে টেলিভিশনে অভিনয় করছেন মোনালিসা। কিন্তু সেই কাজে কোনও প্রাণের ছোঁয়া নেই কেন? মোনালিসার উত্তর, ‘‘আসলে যে অমানুষিক টাইমিংয়ে এখনকার সিরিয়ালে কাজ হয়, সেটা মন থেকে করা সম্ভব নয়। কিন্তু টাকাও দরকার। আমি কাউকে অশ্রদ্ধা করছি না। কিন্তু এখানে ২২ ঘণ্টা, ২৬ ঘণ্টা টানা কাজ করছেন সকলে। আমারও হয়… ধরুন, রাত তিনটেয় প্যাকআপ হয়েছে, তো আবার পরের দিন সকাল আটটায় কল টাইম। আর যাঁরা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তাঁদের পরিশ্রমটা আরও বেশি।’’
১০ বছর আগে নন ফিকশন অ্যাঙ্কারিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন মোনালিসা। তার চার বছর পরেই ‘স্বপ্নসন্ধানী’তে যোগ দেন। সেখানেই অভিনয়ের হাতেখড়ি। তার পর আসে টেলিভিশনের অফার। গত বছরও ওই দলের ‘নির্ভয়া’ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির এতদিনের সদস্য হয়ে টেলিভিশনের এই শিডিউলের কি কোনও সমাধান দিতে পারলেন মোনালিসা?
১০ বছর আগে নন ফিকশন অ্যাঙ্কারিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন মোনালিসা।
স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন তিনি। তাই কোনও রাখঢাক না রেখেই মোনালিসার জবাব, ‘‘সবকটা ডিপার্টমেন্ট কিন্তু কাজ করছে। ডিরেক্টর ডিরেকশন দিচ্ছেন, ইপি নিজের কাজ করছেন, যিনি লেখেন তিনিও লিখছেন। কিন্তু এই টাইমিংয়ের প্রবলেমটা সর্ট আউট হচ্ছে না। আমার তো মনে হয় ওপরমহলে যাঁরা আছে, ইনক্লুডিং চ্যানেল— সকলের একসঙ্গে বসে ব্যাপারটা দেখা উচিত।’’
আরও পড়ুন, অরিন্দমের পরিবারের ‘একজন’ হলেন অনিন্দিতা
তবে শুধু শিডিউল নয়, সিরিয়ালের কনটেন্ট নিয়েও ভাবা দরকার বলে মনে করছেন মোনালিসা। তাঁর কথায়, ‘‘কনটেন্ট আরও রিয়ালিস্টিক হলে ভাল হয়। হয়তো অনেকে বলবেন, দর্শক এটাই চাইছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন আর একটা ‘গানের ওপারে’ কি হতে পারে না? করে তো দেখাই যায়, দর্শক পছন্দ করেন কিনা…।’’
ছবি: মোনালিসার সৌজন্যে।