সোহম তখন নেহাতই শিশুশিল্পী। তাঁকে পাখিপড়ার মতো সংলাপ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। কোথায় ঘুরে দাঁড়াতে হবে--- ধৈর্য ধরে বুঝিয়েও দিয়েছেন।
সোহম-সৌরভ। ফাইল চিত্র ।
৬ মে মুক্তি পেয়েছে ‘কলকাতার হ্যারি’। প্রচারের জন্য ছবির প্রযোজক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী পুরো দল নিয়ে হাজির ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে। সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা সরকার, সুদেষ্ণা রায়, সুদীপা বসু, দীপঙ্কর দে, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, নিকিতা গাঁধী প্রমুখ। সেখানেই প্রকাশ্যে সত্যজিৎ রায়ের ‘শাখা-প্রশাখা’ ছবিতে সোহমের কাজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে নিন্দিত বিধায়ক-অভিনেতা। অনুরাগীদের দাবি, এত বড় পরিচালকের কাছে কাজ শেখার পরে ‘অং বং’ ছবির অভিনেতা সোহম!
সোহম তখন নেহাতই শিশুশিল্পী। চিত্রনাট্য অনুযায়ী মমতাশঙ্করের ছেলে তিনি। কলকাতার বাইরে শ্যুট হচ্ছে। ক্যামেরার মুখোমুখি তিনি। তাঁকে পাখিপড়ার মতো সংলাপ বুঝিয়ে দিচ্ছেন সত্যজিৎ রায়। কোথায় ঘুরে দাঁড়াতে হবে, হেঁটে এগিয়ে যেতে হবে--- ধৈর্য ধরে শিখিয়েও দিচ্ছেন। সত্যজিৎ একটি করে লাইন বলছেন। ছোট্ট সোহম তাঁর সঙ্গে সংলাপ বলে সেটা ঝালিয়ে নিচ্ছে। এ ভাবে মহড়ার পরে ক্যামেরার পিছনে পরিচালক। কিউ দিচ্ছেন অভিনেত্রী মমতা। দূরে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট সংলাপ বলে অভিনয় করছে সোহম।
টুকরো দৃশ্য দেখানোর পরেই সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কৌতূহল, সত্যজিৎ রায় বুঝি এ ভাবেই সবাইকে হাতে ধরে অভিনয় শেখাতেন?
সোহমের কথায়, ‘‘ছোটদের এ ভাবেই তিনি যত্ন নিয়ে, ধৈর্য ধরে দৃশ্যের প্রতিটি ধাপ বোঝাতেন। শিশুশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে করতে তিনি নিজেও শিশু হয়ে যেতেন।’’ এ দিকে সোহমের জীবনের এই বিশেষ ঘটনা জি বাংলার ফেসবুক পেজে ভিডিয়ো আকারে পোস্ট হতেই গোলমাল। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাঁদের কটাক্ষ, ‘ভাবা যায়! সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে অভিনয় শেখা শিল্পী আজ ‘অং বং চং’ সিনেমা বানায়। বাংলায় একটা প্রবচন আছে, 'মুলোর উন্নতি'। অর্থাৎ মুলো যতই বড় হোক তার গতি নীচের দিকে। সোহম চক্রবর্তী এই প্রবচনের যথাযথ উদাহরণ।’