পুত্র মিমো, পুত্রবধূ মাদালসা, স্ত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি : সংগৃহীত।
২০১৮ সালে টেলি অভিনেত্রীকে বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো। সেই সময় মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক তরুণী। বিয়ে হবে না বলেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার কিছু দিনের মধ্যেই অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন মাদালসা-মিমো। প্রায় ছয় বছর হতে চলল মাদালসা ও মিমোর দাম্পত্যের। দিন কয়েক আগেই নিজের কেরিয়ারের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তারকা-পুত্র। এ বার স্ত্রী মাদালসার সঙ্গে বাবা মিঠুনের সম্পর্কের সমীকরণের কথা ফাঁস করলেন মিমো।
বলিউডে একাধিক নামজাদা শ্বশুর-বৌমা জুটি রয়েছেন। তবে অন্যান্য তারকা পুত্রবধূর মতো ততটা প্রচারের আলো পাননি মাদালসা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমো নিজেই আক্ষেপ করেন, অন্যান্য তারকা-সন্তানের মতো তাঁদের জীবনটা ঠিক ততটা চাকচিক্যময় হয়নি। মাঝে মাঝে তার জন্য হিংসেও হয়েছে মিমোর। মাদালসার সঙ্গে মিমোর যখন বিয়ে হয়, তখন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে অল্পবিস্তর পরিচিতি ছিল মিঠুনের পুত্রবধূর। তবে শ্বশুরের পরামর্শেই বদলে গেল গোটা কেরিয়ার। এই মুহূর্তে শুধু দক্ষিণ নয়, গোটা দেশের দর্শকই চেনেন তাঁকে। মাদালসা এক সময় বড় পর্দায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে যশ-খ্যাতি দিয়েছে ছোট পর্দা। সেই সবটাই সম্ভব হয়েছে শ্বশুর মিঠুনের কারণে। মিমো এক সাক্ষাৎকারে জানান, মিঠুনের কথা শুনেই টেলিভিশনে কাজের প্রস্তাব গ্রহণ করেন মাদালসা। মিমো বলেন, ‘‘বাবাই আমার স্ত্রীকে বলেন, ‘অনুপমা’ সিরিয়ালের প্রস্তাবটা গ্রহণ করতে। আর এখন দেখুন, বাড়িতে একটা ছুটি কাটানোর সময় নেই। আসলে আমার স্ত্রীর জন্য বাবা বেশ লাকি।’’
একটা সময় মিঠুন চক্রবর্তীর ছবির কেরিয়ার যখন অস্তমিত, সেই সময় ছোট পর্দায় তাঁকে পুনরায় খ্যাতি এনে দেয়। ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’— নাচের এই রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে কেরিয়ারে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন মিঠুন। সে কথা স্বীকার করেন তাঁর পুত্র মিমোও। হয়তো নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই মিঠুন ছোট পর্দার গুরুত্বটা বুঝেছিলেন। এবং সেই কারণেই পুত্রবধূকে উৎসাহ দিয়েছিলেন নতুন কাজ করার।