মিঠুন চক্রবর্তী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল হেলেনা লিউকের। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিউক। খবর, রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয় তাঁর। এ-ও জানা গিয়েছে, এক অজানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। অনুমান, সেই অসুস্থতার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হেলেনার মৃত্যুর খবর ছড়াতেই একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পুরনো সাক্ষাৎকার। যেখানে তিনি রাজনীতিবিদ-অভিনেতার সঙ্গে তিক্ত বিবাহিত জীবনের কথা প্রকাশ্যে আনেন। একই সঙ্গে চর্চায় তাঁর চলে যাওয়ার দিন কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্ট। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “কোনও কারণ ছাড়াই ভীষণ অস্থির লাগছে। কেন এ রকম লাগছে? জানি না।” তাঁর এই পোস্ট দেখে নেটাগরিকদের বক্তব্য, হেলেনা কি আগাম মৃত্যুকে অনুভব করতে পেরেছিলেন?
মিঠুনের সঙ্গে হেলেনার প্রেম সত্তরের দশকে। ১৯৭৯ সালে তাঁদের বিয়ে। মৃতার পুরনো সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, প্রথম প্রথম সব কিছুই ঠিক ছিল। ক্রমশ সম্পর্ক বিষিয়ে উঠতে থাকে। বিয়ের মাত্র চার মাসের মাথায় আলাদা হয়ে যান তাঁরা। সেই সময় মুম্বইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যমকে হেলেনা জানিয়েছিলেন, মিঠুনের সঙ্গে বিয়েটা দুঃস্বপ্ন ছিল! তিনি বিয়ের আগে অভিনেতাকে এক ভাবে চিনেছিলেন। এক ছাদের নীচে বসবাসের সময় তাঁর ভিন্ন রূপ দেখেন, যা তাঁর কাছে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।
কী কারণে মিঠুন-হেলেনার সম্পর্ক ভেঙে যায়? সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “প্রথমত, মিঠুন অত্যন্ত অপরিণতমনস্ক ছিল। তার তুলনায় বয়সে ছোট আমি অনেক পরিণত ছিলাম। দুই, মিঠুন বুঝিয়েছিল, আমার জীবনে ও-ই একমাত্র পুরুষ। যাকে আদর্শ পুরুষ বলে। আমি সে কথা বিশ্বাস করেছিলাম। সেটাই ছিল আমার মস্ত ভুল।” পাশাপাশি, অভিনেতা তাঁর প্রথম স্ত্রীকে নাকি প্রচণ্ড সন্দেহ করতেন হেলেনার প্রাক্তন প্রেমিক জাভেদকে নিয়ে। সেই সময় তিনি হেলেনকে অকথ্য ভাষায় অপমান করতেন বলে অভিযোগ ছিল হেলেনার। সেই জায়গা থেকে তিনি বলেছিলেন, “মিঠুন বলত, ও নাকি শুধুই আমাকে চায়, ভালবাসে। আমার অভিজ্ঞতা বলছে, মিঠুন নিজেকে ছাড়া কোনও দিন কাউকে ভালবাসতেই পারে না।” প্রসঙ্গত, বিচ্ছেদের পর হেলেনা ১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘মর্দ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।