সমুদ্র সৈকতে ময়লা কুড়োচ্ছেন মিমি। ছবি: সংগৃহীত।
২২ এপ্রিল ছিল ‘আর্থ ডে’। এ দিকে দিন দিন উষ্ণতার পারদ চড়ছে গোটা পৃথিবীর। ঘটছে নানা আবহাওয়ার ব্যাপক বদল। মরুভূমিতে বন্যা। পাহাড়ে তুষারপাতে ঘাটতি। পরিবেশবিদেরা বার বার সচেতন করছেন মানুষের নানা ক্রিয়াকলাপ নিয়ে।
এমনই এক সময়ে এক কাণ্ড করে ফেললেন বাংলার রুপোলি পর্দার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাহসী খোলামেলা পোশাক পরে সাগরতটে ময়লা কুড়োলেন তিনি। এর আগে এমন পোশাকে দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের বহু নায়িকাকে। সে কাজল হোক, কী প্রিয়ঙ্কা, দীপিকা বা অনুষ্কা। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিশেষ করে ‘পাঠান’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া মনোকিনি তো রীতিমতো শোরগোল ফেলেছিল! কিন্তু মিমির ঘটনাটা সম্পূর্ণ অন্য। তিনি এই ‘আর্থ ডে’তে পরিবেশকে প্লাস্টিকমুক্ত করার শপথ নিলেন মনোকিনি পরে ময়লা কুড়িয়ে।
এমনিতেই পায়ের তলায় সর্ষে মিমির। এক কথায় তিনি ভ্রমণপিপাসু। এই ‘আর্থ ডে’তে কোথাও ঘুরতে যাননি ঠিকই, কিন্তু নিজের পুরনো একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দিলেন সমাজ সচেতনতার বার্তা। নীল জলরাশি, সামনে সাদা বালি। চার পাশে অনাবিল সৌন্দর্য। এর মাঝেই প্লাস্টিক কুড়োচ্ছেন অভিনেত্রী! পরনে মনোকিনি! গত বছরই এই একই কায়দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতে আবর্জনা কুড়োতে। বলা যেতে পারে, এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটলেন মিমি।
এই ভিডিয়ো পোস্ট করে এ দিন অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘পৃথিবী ভরা প্লাস্টিক, তা-ও আমরা এই দিনটাকে ‘হ্যাপি আর্থ ডে’ বলি। এখনও দেরি হয়ে যায়নি। কিছু সচেতন সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে। প্রকৃতির সঙ্গে আমরা যে অন্যায় করেছি, যে ক্ষতি করেছি তাকে শুধরে নেওয়া এখনও যায়। এখনও প্রকৃতি সে সুযোগ দিচ্ছে।’’
অভিনেত্রীর এই উদ্যোগ যেমন প্রশংসিত হয়েছে নেটপাড়ায়, তেমন অনেকে আবার কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তাঁকে। কেউ লিখেছেন, ‘‘নিজে যেখানে ভোটে জিতেছিলেন সেখানে এগুলি করলে ভাল হত।’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে পরিষ্কার করলেন না কেন?’’ অন্য আর এক জন লেখেন, ‘‘এই কাজটা দিঘায় গিয়ে করলে ভাল হত।’’
মিমির এমন ভঙ্গি অনেকের চোখে লোকদেখানি বলে মনে হল কি তবে? যদিও এ সব কথায় কোনও মন্তব্য করেননি কর্মকাণ্ডের মূল হোতা মিমি চক্রবর্তী।