মিকা সিংহ-আকাঙ্ক্ষা পুরী। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর ঘটা করে স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করে গায়ক মিকা সিংহ। অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘স্বয়ম্বর— মিকা দি বোটি’। মিকা এই শোয়ের মাধ্যমেই খুঁজেছিলেন নিজের জীবনসঙ্গিনীকে। চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন তিন জন, নীত মহল, প্রান্তিকা দাস ও ও আকাঙ্ক্ষা পুরী। প্রান্তিকা ও নীতকে পিছনে ফেলে মিকার মন জয় করেন গায়কের পুরনো বন্ধু আকাঙ্ক্ষা। প্রতিযোগিতায় আকাঙ্ক্ষা যোগ দিয়েছিলেন ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে। অভিনেত্রীর সঙ্গে পঞ্জাবি গায়কের পরিচয় তেরো-চোদ্দো বছরের। পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এক সময় সম্পর্কও ছিল তাঁদের। সেই আকাঙ্ক্ষার গলায় স্বয়ম্বরের মঞ্চে মালা দেন মিকা। তবে শো শেষ হওয়ার পর থেকেই যেন গা-ছাড়া ভাব তাঁদের। কথা ছিল ছ’মাসের মধ্যে বিয়ে করবেন তাঁরা। বছর ঘুরে গেলেও বিয়ের নাম শোনা যায়নি তাঁদের মুখে। অবশেষে বিয়ে ভাঙার কথা জানালেন মিকা। কেন আকাঙ্ক্ষার ঘর বাঁধতে পারবেন না? কারণ জানালেন গায়ক।
ছোট পর্দার অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা। টেলিভিশনের একাধিক নায়কের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে পরিচিত থাকলেও দর্শকের নজরে আসেন মিকার সঙ্গে এই শো করার পর। তার পর থেকেই প্রচারের আলোয় আসেন তিনি। ডাক পরে ‘বিগ বস্ ওটিটি ২’-র ঘরে। সেখানে তাঁর ও দুবাইয়ের মডেল জাদ হাদিদের ঠোঁটঠাসা চুম্বন নিয়ে ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে যান আকাঙ্ক্ষা। যদিও সেই সময় মিকার প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁরা যে একে অপরের ‘কাছের বন্ধু’, জানান আকাঙ্ক্ষা। তবে এ বার স্পষ্ট মিকা জানান, তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না।
মিকার বলেন, ‘‘শোয়ে আকাঙ্ক্ষাকে জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেছে নেওয়ার পর থেকেই বুঝতে পারি আমরা একের অপরের জন্য সঠিক নই। আমি এক জন গায়ক। ও এক জন অভিনেত্রী। বছরের অধিকাংশ সময় আমাকে দেশের বাইরে বাইরে থাকতে হয় শোয়ের কারণে। সেখানে ওঁর কাজ মুম্বইতেই। ও গায়িকা হলে না হয় আমরা একসঙ্গে কিছু ভাবনাচিন্তা করতে পারতাম। কিন্তু ওঁর আমার পেশা যে একেবারে আলাদা।’’
তবে কি স্বয়ম্বর সবটাই ভাওতা! মিকা বলেন, ‘‘শোয়ের কোনও কিছুই পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এমনকি, আকাঙ্ক্ষার শোয়ে প্রবেশটা আচমকাই হয়। তবে বিয়েটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। সেটার জন্য ভবিষ্যতে আফসোস করতে চাই না। তাই নিজের জন্য সময় নিচ্ছি।’’