শার্লিন চোপড়া।
জিয়া খানের দিদির পর এবার শার্লিন চোপড়া। পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেন শার্লিন। সাজিদ খান প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন, কিছুদিন আগেই এই অভিযোগ এনেছিলেন জিয়ার দিদি। এবার সাজিদ খানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হলেন বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী ও নানাকারণে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা শার্লিন চোপড়া। জানালেন, সিনেমা নিয়ে আলোচনার টোপ দিয়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন পরিচালক।
২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ১৬ বছর পর এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বেছে নিলেন সমাজ মাধ্যমকেই। একটি টুইটে জানালেন মিটু-র শিকার হয়েছিলেন তিনিও। ২০০৫ সালে তাঁকে নিজের অফিসে ডেকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন সাজিদ। ঘটনাটি যে সময়ের, তার দিন কয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, সাজিদের প্রযোজনা সংস্থার কাছ থেকে ডাক পেয়ে কাজের জন্যই দেখা করতে যান। আর সেখানেই অদ্ভূত অভিজ্ঞতা হয় শার্লিনের। অভিনেত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাকে দেখে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন করেন সাজিদ। বলেন স্পর্শ করে দেখতে।’
প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সামলে নেন শার্লিন। সমাজ মাধ্যমেই লিখেছেন, ‘আমার মনে আছে, ওঁকে বলেছিলাম পুরুষাঙ্গ স্পর্শের অনুভূতি আমি জানি। তবে এখানে ওঁর সঙ্গে দেখা করতে আসার কারণ সম্পূর্ণ আলাদা।’
সাজিদ খানের বিরুদ্ধে অবশ্য মিটুর অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালেই বিশ্বজুড়ে যখন মিটু আন্দোলন তীব্র আকার নিয়েছে, তখন সাজিদের বিরুদ্ধে সরব হন বহু অভিনেত্রী। এর জেরে ভারতীয় ফিল্ম ও টেলিভিশন ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় সাজিদ খানকে।
সম্প্রতি জিয়া খানের বোন করিশ্মা একটি তথ্যচিত্রে মুখ খুলেছেন সাজিদ খানের যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গে। জানিয়েছেন, ‘হাউসফুল’ ছবির চিত্রনাট্য পড়তে দিয়ে জিয়াকে তাঁর উর্ধ্বাঙ্গের পোশাক খুলে ফেলতে বলেছিলেন সাজিদ। সেই ঘটনার পর জিয়া কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে।
জিয়ার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনাও। ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘ওঁরা জিয়াকে মেরেছে, সুশান্তকে মেরেছে, আমাকেও মারতে চেয়েছিল, পারেনি। আর এখন এই সব অপরাধীরা বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাফিয়ারা সমর্থন যুগিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে এঁদের। তাই এঁদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না।’
শার্লিন চোপড়াও কিছুটা একই কথা বলেছেন। তাঁর যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গে এতদিন পর কেন মুখ খুললেন তা জানতে চাওয়া হলে শার্লিন জানিয়েছেন, বলিউডের প্রভাবশালীদের মধ্যে একজন সাজিদ। তাঁকে সমর্থন জোগানোর অনেকেই ছিলেন। আজও আছেন। তাই এতদিন এই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেননি।