#মিটু ঝড়ে তোলপাড় গোটা বলিউড। নানা পটেকরের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্ত আঙুল তোলার পর থেকেই এক এক করে বলি অভিনেত্রীরা যৌন হেনস্থা নিয়ে সরব হচ্ছেন। কিন্তু অভিযোগকারিণীরা কি পাশে পাচ্ছেন বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের? #মিটু বিতর্কে কী বলছেন শাহরুখ থেকে সলমন, ঐশ্বর্যা থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো বলিউডের প্রথম সারির তারকারা?
শাহরুখ খান- সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সব ইস্যু নিয়েই সরব হন। কিন্তু এ হেন কিঙ্গ খানকেই #মিটু বিতর্কে একটি টু শব্দ অবধি করতে দেখা যায়নি। যৌন হেনস্থা তো বটেই এমনকি ধর্ষণেরও অভিযোগ উঠেছে শাহরুখের প্রিয় বন্ধু করিম মোরানির বিরুদ্ধেও। তা-ও শাহরুখ এক্কেবারেই স্পিকটি নট। সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহরুখের এমন গা ছাড়া ভাব নিয়ে তীব্র বিতর্কও শুরু হয়েছে।
অমিতাভ বচ্চন- প্রথমে কিছুটা গা ছাড়া ভাব দেখালেও পরবর্তী সময়ে অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন, ‘‘মহিলাদের সঙ্গে কোনও রকমের দুর্ব্যবহার করা উচিৎ নয়।’’ তবে হেয়ার স্টাইলিস্ট স্বপ্না ভাবনানি অমিতাভকে বলেছিলেন, ‘‘আপনার সত্যিটাও সামনে আসবে খুব শীঘ্রই।’’ তার পর যদিও অমিতাভের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আমির খান- নান পটেকর আর তনুশ্রী দত্ত বিতর্কে আমির বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টি না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।’’ পরিচালক সুভাষ কপূরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী গীতিকা ত্যাগী। সেই পরিচালকের সঙ্গেই ‘মোগুল’ ছবিতে কাজ করার কথা ছিল আমিরের। কিন্তু আমির পরে টুইট করে ওই ছবির প্রযোজনা থেকে বেরিয়ে আসেন।
ঐশ্বর্যা রাই- #মিটু বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন ঐশ্বর্যা রাইও। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিষয়ে আমি সব সময়েই কথা বলি। আগেও বলেছি, আর পরেও বলব। বহু দিন ধরেই বলিউডে এমনটা চলছে। আমি খুশি যে, এত দিন পরে বাকিরাও মুথ থুলছেন।’’
সলমন খান- #মিটু বিতর্কে সলমন খান বলেছিলেন, ‘‘না জেনে এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’
অক্ষয় কুমার- নানা পটেকরের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্ত মুখ খোলার পরেও এক ফ্রেমে নানা পটেকর আর অক্ষয় কুমারকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই অক্ষয় কুমারই পরে ‘হাউসফুল ফোর’ থেকে বেরিয়ে আসেন। কারণ, ছবির পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল।
টুইঙ্কল খন্না- যে কোনও ইস্যু নিয়ে সব সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলতে দেখা যায় টুইঙ্কল খন্নাকে। আর বলিউডের #মিটু বিতর্ক নিয়ে টুইঙ্কল বললেন, ‘‘আমাদের সকলের দায়িত্ব কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়টা নিশ্চিত করা। ’’ তবে যাঁরা যৌন হেনস্থা নিয়ে সরব হচ্ছেন তাঁদেরকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও দু’পক্ষের কথাই যে শোনা জরুরি সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া- মুখ খুলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও। তনুশ্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তনুশ্রীকে বিশ্বাস করার আর্জি জানিয়েছিলেন।