ফুরফুরে প্রেমের গান, তাই রিলিজ়ের জন্যেও বেছে নেওয়া হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিই। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের সুরে নিজে মৌলিক গান গাইবেন, এমনই ইচ্ছে ছিল বরাবর। তাই ব্যাঙ্কের চাকরির পরীক্ষা দিয়েও আবার অডিশন দিয়েছেন ‘সারেগামাপা’তে। যাঁর যে দিকে যাওয়ার! মেখলা দাশগুপ্তের জীবন সুরকেই বেছে নিয়েছে। ছবিও আঁকেন দুর্দান্ত, চাইলে নাচ কিংবা অভিনয়ও করতে পারতেন। তবে আপাতত তিনি নতুন গানের খবর দিলেন।
গানের ভাষা বাংলা নয়, হিন্দি। এটিই মেখলার গাওয়া প্রথম হিন্দি মৌলিক গান। কলেজ-প্রেম নিয়ে তৈরি হওয়া গানটি লিখেছেন সোহম মজুমদার, সুর করেছেন দেবব্রত মজুমদার। শুট হল কলকাতাতেই, ১০ ফেব্রুয়ারি।
সেখানেও স্মৃতিমেদুরতা আছে। মেখলা জানালেন, দীনবন্ধু অ্যন্ড্রুজ় কলেজে হবে শুটিং। যে কলেজের ছাত্রী ছিলেন মেখলা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মেখলা বললেন, ‘‘কলেজজীবনের প্রেমে একটা ব্যাপার থাকে। উড়ুউড়ু মন বেঁচে থাকুক, সেটাই চাইব। ভাল কিছু সব সময় ভাল লাগে। নতুন কারও দিকে চাইবে না মানুষ, তা কী হয়!’’
ছবি: সংগৃহীত।
চোখের পলকে ঘটে গিয়েছে গোটা বিষয়টা। দিন দশেকের মধ্যেই বাঁধা হয়েছে গান। না-বোঝাতে পারা প্রেমের গল্প লুকিয়ে আছে সেই মিষ্টি গানে।
কিন্তু গানের ভাষা কেন হিন্দি? মেখলা বললেন, ‘‘প্রচুর বাংলা গান তো গেয়েছি। হিন্দিতেও গাইতে হতই। গানটা শুনেই পছন্দ হয়ে গেল। গানের ভাষা বাংলা হলেও গাইতাম।’’
ফুরফুরে প্রেমের গান, তাই রিলিজ়ের জন্যেও বেছে নেওয়া হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিই।
শুটিংয়ের আগের ব্যস্ততা, ফুরফুরে মেজাজে গায়িকা। — নিজস্ব চিত্র।
প্রেম দিবস নিয়ে এমনিতে উথালপাথাল আবেগ নেই মেখলার। আট বছরের দীর্ঘ সম্পর্কের পরে বছরখানেকের কিছু বেশি আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। বললেন, ‘‘প্রেম মানে আমার কাছে বিশ্বাস, পারস্পরিক সম্মানবোধ। প্রথম প্রেমে পড়ার অনুভবটা পরে আর থাকে না। থাকে বন্ধুত্বের অনুভবটুকুই।’’
সুর করেছেন দেবব্রত মজুমদার। শুট হল কলকাতাতেই, ১০ ফেব্রুয়ারি। —নিজস্ব চিত্র
রণজয়ের সুরে ‘কেন রোদের মতো হাসলে না’-র মতো গান মেখলাকে পরিচিতি দিয়েছে। এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চাপ কতটা? মেখলার মতে, ‘‘সবটাই ভাগ্য। সব সময় যে ভাল গান পাব এমন নয়। আবার কোন গান কেমন ভাবে সবার মনে দাগ কেটে যাবে, বলা শক্ত। আমি শুধু আমার ভাল লাগা নিয়ে রয়েছি। ভাল সুর খুঁজে বেড়াই।’’
রিয়্যালিটি শো-র জনপ্রিয়তা তাঁর সঙ্গীত জীবনে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে, মানছেন মেখলা। ছবির গান এবং মৌলিক গান মিলিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন। জানালেন, কেবল অর্থ এবং জনপ্রিয়তা অর্জনই উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। চেয়েছিলেন নিজের গান গাইতে। সেই ইচ্ছেপূরণ হওয়ায় তিনি খুব খুশি। কাজ করে যেতে চান।