সান বাংলার এই নতুন ধারাবাহিকের প্রযোজক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়। প্রযোজনায় অর্গ্যানিঙ্ক। শক্তিপদ রাজগুরুর কাহিনি অবলম্বনে ১৯৬০ সালের কালজয়ী ছবিই কি ২০২২-এ ছোট পর্দায় ধারাবাহিকের রূপ নিচ্ছে? ধারাবাহিকে বৃন্দা কি নারীশক্তির মুখ হয়ে জিতে যাবে? নিজের মতো করে বাঁচবে অবশেষে?
‘মেঘে ঢাকা তারা’
বড় পর্দার ‘মেঘে ঢাকা তারা’র সঙ্গে ধারাবাহিক ‘মেঘে ঢাকা তারা’র কি আদৌ মিল আছে?
যাঁরা ঋত্বিক ঘটকের বিখ্যাত ছবিটি দেখেছেন তাঁরা অল্প মিল পেলেও পেতে পারেন। তবে ছোট পর্দার ‘নীতা’ আধুনিক। চরিত্র নাম বদলে বৃন্দা। খোলা চুলে, শাড়িতে আজকের নারীর প্রতিনিধি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যে নিজের কাঁধে গোটা সংসারের দায়িত্ব অনায়াসে বইতে পারে। পরিবারে বিধবা মা, দিদি, ভাই-বোন, বোনঝি। এই সংসারকেই বৃন্দা নিজের সংসার বলে জানে।
সান বাংলার এই নতুন ধারাবাহিকের প্রযোজক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়। প্রযোজনায় অর্গ্যানিঙ্ক। শক্তিপদ রাজগুরুর কাহিনি অবলম্বনে ১৯৬০ সালের কালজয়ী ছবিই কি ২০২২-এ ছোট পর্দায় ধারাবাহিকের রূপ নিচ্ছে? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল অর্কর কাছে। প্রযোজক জানিয়েছেন, একেবারেই না। বরং এক জনপ্রিয় তামিল ধারাবাহিকের বাংলা রূপ এই ধারাবাহিক। যা সান বাংলার তরফেই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
২৮ মার্চ থেকে প্রতি দিন রাত সাড়ে আটটায় দেখা যাবে এই নতুন ধারাবাহিক। গল্পে বৃন্দা কি নারীশক্তির মুখ হয়ে জিতে যাবে? নিজের মতো করে বাঁচবে অবশেষে? অর্কের দাবি, ‘‘আমাদের এই ধারাবাহিক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প বলবে। যা আজকের সময়ের উপযুক্ত। সেখানে নারী লড়বে। জিতবে, হারবেও। কেউ নারীশক্তির মুখ হয়ে উঠবে না।’’
অর্কের প্রযোজনা সংস্থার একাধিক ধারাবাহিক অন্য ভাষার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের ভাষান্তর। বাংলাতেও অনেক ভাল কাজ হয়েছে। কখনও সেই সব পুরনো ছবি বা ধারাবাহিককে কি নতুন ভাবে পরিবেশন করতে চান অর্ক? প্রযোজকের মতে, সেই গল্প যুগোপযোগী হলে এবং উপযুক্ত অভিনেতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তিনি বাংলার হারানো সম্পদ ফিরিয়ে আনবেন। ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ধারাবাহিকে বৃন্দার ভূমিকায় অভিনয় করছেন পৃথা চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে পৌলমী দাস, কৃত্তিকা চক্রবর্তী, নবনীতা মুখোপাধ্যায়কে।