সবেমাত্র ডেবিউ হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাল্টি ট্যালেন্টেড তকমা পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তবে তার আগে থেকেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন।
কর্নাটকে জন্ম আশা ভট্ট নামের এই তরুণীর। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
শিখেছেন মার্শাল আর্ট। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভাল ফল করেছিলেন। তিনি এক জন ইঞ্জিনিয়ারও বটে।
স্কুল জীবনের শেষ দিকেই তিনি সদস্য হন এনসিসি অর্থাৎ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের। অংশ নিয়েছেন সাধারণতন্ত্র দিবসের শিবিরেও।
সার্ক দেশগুলির এনসিসির প্রতিনিধিত্বও করেছেন এই নায়িকা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
কলেজে পড়ার সময় থেকেই মডেলিংয়ে হাতেখড়ি। এর পর একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা তাঁকে সংবাদের শিরোনামে নিয়ে আসে।
২০১৪ সালে পোল্যান্ডে মিস সুপারইন্টারন্যাশনাল হয়েছিলেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় সেরা প্রতিভাময়ীর পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে জিতেছেন ‘বিউটি উইদ আ পারপাস’ পুরস্কারও। এ ছাড়া সারা বিশ্বে অসংখ্য সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সেরার মুকুট রয়েছে আশার কাছে।
তাইল্যান্ড, মায়ানমার, হাঙ্গেরি, মরিশাস, প্যারাগুয়ে-সহ কয়েকটি দেশের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকাও পালন করেছেন এই তরুণী।
বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি।
‘জংলি’ ছবি দিয়ে এই প্রতিভাময়ী নায়িকার ডেবিউ হল বলিউডে। হাতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, বন্যপ্রাণ, পরিবেশ রক্ষা, চোরাশিকারিদের হানা এই সংক্রান্ত গল্প নিয়ে এগিয়েছে ছবিটি। ছবিতে প্রশংসা পেয়েছে আশার স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়।
বর্তমানে মুম্বইয়ে থাকেন নায়িকা। বেশ কিছু সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। নিজে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও চালান। আলিয়ার পর নতুন এই ভট্টের দিকে নজর রাখবেন সিনেপ্রেমীরা, বলা হচ্ছে এমনটাই।