মনোজ বাজপেয়ী
ইন্ডাস্ট্রিতে এসেই কেরিয়ারের প্রথম জাতীয় পুরস্কারটি পেয়েছিলেন মনোজ বাজপেয়ী। ভিখু মাত্রে (রাম গোপাল বর্মার ‘সত্য’ ছবির চরিত্র) তাবড় সিনেপ্রেমীদের মন কেড়ে নিয়েছিল। মনোজ জিতেছিলেন সেরা সহ-অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। সোমবার ‘ভোঁসলে’ ছবির জন্য ফের জাতীয় পুরস্কার পেলেন মনোজ, সেরা অভিনেতা হিসেবে এই প্রথম বার। এর আগে তাঁর ‘পিঞ্জর’ ছবিটি জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল। তবে অভিনেতা হিসেবে মনোজের অনেক কাজই উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছে জাতীয় স্তরের পুরস্কারের মঞ্চে। অভিনেতা নিজেও তা মনে করেন। ২০১৬ সালে ‘আলিগড়’ ছবিতে প্রফেসর সিরাসের চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা পেলেও, পুরস্কৃত হয়নি। সেই বছরে ‘রুস্তম’-এর জন্য সেরা হয়েছিলেন অক্ষয়কুমার। তবে মনোজের সব না পাওয়া ভুলিয়ে দিয়েছে ৬৭তম জাতীয় পুরস্কার। ‘ভোঁসলে’তে এক মরাঠি পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মনোজ, যে বিহার থেকে মুম্বইয়ে কাজ করতে আসা একটি মেয়ে ও তার ভাইকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার রোষ থেকে বাঁচায়।
সম্প্রতি শুটিং করতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মনোজ। এখন সেরে উঠছেন ধীরে ধীরে। তার মধ্যে এমন একটি খবর তাঁকে যারপরনাই আনন্দ দিয়েছে। সেরা অভিনেতার জাতীয় সম্মান পেয়ে মনোজ বলেছেন, ‘‘একটা জাতীয় পুরস্কার অতীতের সব অপ্রাপ্তিকে ভুলিয়ে দিতে পারে। এখন কৃতজ্ঞতা ছাড়া আর কোনও অনুভূতি নেই। ‘ভোঁসলে’র টিমের প্রত্যেককে ধন্যবাদ।’’ তবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার আগে আর কোনও স্বীকৃতি এই ছবিকে দেওয়া হয়নি। সে দিক দিয়ে, জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার সুবাদেই ছবিটি বৃহত্তর সমাজের নজরে এল বলা যায়।
অন্য দিকে, অতিমারির কারণে এক বছর দেরিতে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় পুরস্কার উস্কে দিয়েছে কিছু বিতর্কও। যেমন, ‘মণিকর্ণিকা’ এবং ‘পঙ্গা’ ছবির জন্য কঙ্গনা রানাউতের চতুর্থ বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া। নেটিজ়েনদের একাংশের দাবি, শাসকদল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই পুরস্কার জিতেছেন অভিনেত্রী। এ ছাড়া প্রয়াত সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে সম্মানজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যেই ‘ছিছোরে’র পুরস্কার-প্রাপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। অভিযোগের তির থেকে বাদ পড়েনি বাংলা ব্রিগেডও। ‘গুমনামী’র পুরস্কার-প্রাপ্তির নেপথ্যে বিজেপি-যোগের প্রসঙ্গও উঠেছে। জাতীয় পুরস্কার ঘিরে বিতর্ক জারি সোশ্যাল মিডিয়ায়।