প্রিয়া প্রকাশ বারিয়ার। ছবি: সংগৃহীত।
একটি চোখের ইশারায় রাতারাতি সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন পাতায় ছড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ারকে মনে আছে? তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ চোখ মারা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনেক বিতর্কও। ওমর লুলু পরিচালিত ‘ওরু আদার লভ’ ছবির এই দৃশ্য নিমেষে ছড়িয়ে পড়েছিল ফেসবুকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই বিশেষ দৃশ্য নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। প্রিয়াকে সেই দৃশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পুরোটাই নিজের কৃতিত্ব বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ পরিচালক।
খানিকটা ফুঁসে উঠলেন ওমর। প্রিয়াকে স্মৃতি ফেরানোর ওষুধ খেতে বললেন তিনি। ওমর বলেন, “আসলে পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে তো, আমার বাচ্চার স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে। ভাল্ল্যাচন্দনাদি ওষুধ খাওয়া দরকার প্রিয়ার।” ভাল্যাচন্দনাদি একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা স্মৃতি ফেরানোর জন্য চিকিৎসকরা খেতে বলেন। ওমরের দাবি, এই দৃশ্যটির পুরো ভাবনাই তাঁর মস্তিষ্ক থেকে বার হয়েছিল। পাঁচ বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলেও ছিলেন পরিচালক। সে সময় একই বক্তব্য ছিল প্রিয়ারও। তিনি বলেন, “আমায় এমন ভাবে চোখের ইশারা করার জন্য পরিচালকই বলেছিলেন।” এত দিন পরে তাই অভিনেত্রীর নতুন বক্তব্য শুনে বিরক্ত পরিচালক।
যে কাজলটানা চোখের ইশারায় কুপোকাত হয়েছিলেন দর্শক, সেই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে মামলা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের দু’জন। যদিও সেই মামলা সঙ্গে সঙ্গে খারিজ হয়ে যায়। ‘‘চোখ মারা’ নিয়েও আদালতে?’’ তীব্র ভর্ৎসনা করে মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ‘‘আপনাদের কি আর কোনও কাজ নেই’’, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের মুখে এমন কথাই শুনতে হয়েছে হায়দরাবাদের দুই ‘মামলাবাজ’কে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতেও এ নিয়ে আর কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।
মামলাকারীদের যুক্তি ছিল, ‘মাণিক্য মালারায়া পুবি’ গানটি মুসলিম নবি হজরত মহম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা বিবির প্রতি ভালবাসার প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কেরলের মালাবার অঞ্চলে এই গানটি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে জনপ্রিয়। তাই এ রকম একটি ধর্মীয় ভাবাবেগ মিশ্রিত গানের অপব্যবহার করা হয়েছে এবং সেই গানে চোখ মারার দৃশ্যায়ন করায় ইসলাম ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন প্রিয়া।