মুক্তি পেল 'চিনি'র পোস্টার।
দিন দুই ধরে ভারী মজার একটি পোস্ট ঘুরেছে এসভিএফের সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক দল পিঁপড়ে সারি বেঁধে হেঁটে চলেছে। কীসের খোঁজে, কোথায় যাচ্ছে তারা?
বুধবার প্রযোজনা সংস্থা সোশ্যাল পেজে পোস্টার লঞ্চ করতেই উত্তর মিলল, ‘চিনি’র খোঁজে। ক্রিস্টমাসে মুক্তি পাচ্ছে মৈনাক ভৌমিকের নতুন ছবি। এই ছবি দিয়েই আরও এক বার সম্পর্কের গল্পে কামব্যাক তাঁর। পরিচালকের কথায়, মা-মেয়ের সম্পর্ককে ঘিরে, বয়ফ্রেন্ড, কাজের মাসি, সবাইকে নিয়ে একটি পরিবারের গল্প বলবে তাঁর ছবি।
বড় দিনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এর মুক্তি অনিশ্চিত। সম্ভবত সেই স্থান পূরণ করতে চলেছে এই ছবি। ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে মৈনাকের চারটি ছবির চুক্তি ছিল। সেই হিসেবে ‘চিনি’ তাদের চতুর্থ ছবি।
A post shared by Aparajita Adhya (@adhyaaparajita)
পোস্টার জুড়ে পর্দার মা-মেয়ে অপরাজিতা আঢ্য, মধুমিতা সরকার। তাদের চিনির মতো মিষ্টি সম্পর্কের কথাই কি শুধু বলবে ছবি? মৈনাক জানালেন, মা-মেয়ে ছবির মূল আকর্ষণ। তাদের ঘিরে সামনে আসবে পরিবারের বাকিরাও। থাকবে গার্হস্থ্য হিংসার কথাও— ‘‘গার্হস্থ্য হিংসাই আসল গল্প। তাকে ঘিরে মা-মেয়ের সম্পর্কের ওঠাপড়া, ভালবাসা, মন্দবাসা, সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়া স-ব থাকবে।’’
অনেকটা ‘জেনারেশন আমি’র মতো? একেবারেই না, দাবি মৈনাকের। এই ছবি তুলনায় একটু জটিল। অনেকটাই গভীর। কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক ছোঁয়া পেলেও পাওয়া যেতে পারে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘোষিত হয়েছিল ছবির কথা। ফেব্রুয়ারিতে শ্যুটিং শুরু করে অতিমারির মধ্যেও সেপ্টেম্বরে র্যাপ আপ হয়ে গিয়েছে ছবি। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। ছবিতে আগে বলা দুই অভিনেত্রী ছাড়াও দেখা যাবে সৌরভ দাস, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, অজপা মুখোপাধ্যায়কে। পরিচালকের কথায়, ছবির কস্টিউম ডিজাইন ছাড়াও মিষ্টি একটি চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন অজপা।
আরও পড়ুন: গৃহে প্রবেশ শ্রীময়ীর, থাকবেন না যাবেন অনিন্দ্যর হবু সন্তানের মা জুন?
মৈনাকের ছবির প্লাস পয়েন্ট, যাবতীয় শ্যুটিং কলকাতাতেই হয়। পরিচালক জানালেন, ‘‘সেটা এ বারেও হয়েছে। অতিমারির মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অপরাজিতা সহ কয়েক জন কোভিডেও আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি, ছবিতে একমাত্র পুরুষ চরিত্র সৌরভ। বলা ভাল, ‘চিনি’ নারীকেন্দ্রিক ছবি।’’
আরও পড়ুন: কেন এত রাগ সলমনের? রহস্য খোলসা করলেন খোদ ‘ভাই’
বড়দিনে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। দর্শক হলে যাবেন তো? পরিচালকের স্পষ্ট জবাব, ‘‘অতিমারির আবহে হলে কত জন দেখতে যাবেন তাই নিয়ে ভাবছি না। আমার ‘জেনারেশন আমি’কে যেমন কয়েক সপ্তাহ পরেই অন্য ছবির জন্য হল ছেড়ে দিতে হয়েছিল। অথচ ‘হইচই’তে রিলিজ হওয়ার পর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাই আমার একান্ত চাওয়া, হল না হলে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কোনও একটা মাধ্যমে দর্শক যেন দেখেন ‘চিনি’কে।’’