জয়প্রকাশ মজুমদার, মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
আচমকা ফেসবুকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ! কাকে বললেন অভিনেতা?
জানতে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তখনই ফাঁস কোনও ব্যক্তিগত বা পেশাগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়। তিনি কটাক্ষ করেছেন ‘সাময়িক বহিষ্কৃত’ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে। তৃণমূল কংগ্রেসে আবার ফিরেছেন তিনি। তাঁর সদ্য ‘ঘর ওয়াপসি’তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তার পরেই ফেসবুকে নাম না করে তোপ দেগেছেন অভিনেতা। মৈনাকের যুক্তি, ‘‘আমার এই বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে পারব। জয়প্রকাশকে শাসকদল প্রকাশ্যে বের করে দিয়েছিল। সেই ছবি আছে আমার কাছে।’’
পরিবারের সঙ্গেও অনেক সদস্যের মনোমালিন্য হয়। পরে মিটমিট হলে তিনি আবার ফিরে আসেন। রাজনীতিকেও বৃহত্তর পরিবার হিসেবে দেখলে সেখানে কেন একই ঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া? অভিনেতার দাবি, তিনি বাম রাজনীতির সমর্থক। কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনীতিকে কাছ থেকে দেখেছেন। এই ধরনের ঘরে ফেরাকে সমর্থন জানাতে পারেন না। তাঁর মতে, ‘‘ব্যক্তি, পরিবার আর রাজনৈতিক মহল্লা এক নয়। এতে বহু মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে থাকে। ভাল-মন্দ দৃষ্টান্ত স্থাপনের বিষয়টিও জড়িত। তাই রাজনীতিতে এ ভাবে ‘ঘর ওয়াপসি’ সমর্থনযোগ্য নয়।’’
উদাহরণ হিসেবে মৈনাক তুলে ধরেন অভিনেতাদের রাজনীতিতে যাওয়া-আসার দিকটিও। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘অতিমারিতে অভিনয় বন্ধ। শো বন্ধ। মাচা বন্ধ। অভিনেতারা কী করবেন? তাঁদের অর্থের প্রয়োজন। রাজনীতিবিদেরা সেই সুযোগে তাঁদের যোগাযোগ কাজে লাগালেন। অভিনেতারাও লুফে নিলেন সুযোগ। ভেবেছিলেন, রাজ্যে পদ্ম ফুটবে। তাই ধর্মগন্ধী হোক, কুসংস্কারে মদতদাতা হোক, শিল্পীদের রগড়ানি দেওয়ার হুমকি দেওয়া হোক, সব মেনে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে। নির্বাচনে ধরাশায়ী দল। তাঁদেরও উপার্জন হয়ে গিয়েছে। ফলে, দলে দলে ফিরছেন শাসকদলেই!’’
মৈনাক রাজনীতিতে আসবেন? বিজেপি দলত্যাগের পরেই আইনি গেরোয় শ্রাবন্তী। এটাও কি রাজনীতি?
ছোট পর্দার ‘তান’-এর সপাট জবাব, ‘‘পুরোপুরি রাজনীতিতে আসতে যে মনন, শিক্ষা এবং সময়ের দরকার, সেটা আমার নেই। তাই আমি রাজনীতিমনস্ক থাকব। বিশেষ কোনও রাজনৈতিক মতবাদকেও সমর্থন জানাব। কোনও দিন সক্রিয় রাজনীতিতে আসব না।’’ শ্রাবন্তী প্রসঙ্গে মৈনাকের মন্তব্য, যে কোনও কাজ করার আগে সব সময় সচেতন থাকা উচিত। শ্রাবন্তী সম্ভবত সেটা করেননি। তারই ফল ভুগছেন।