নচিকেতাকে নিয়ে অকপট লোপামুদ্রা।
দু’জনেই গানের মানুষ। গানকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত জীবন। গানকে ঘিরেই বন্ধুত্ব। আবার এক গানের অনুষ্ঠানেই আলগা হয়েছিল সম্পর্কের বাঁধন। আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে নচিকেতা চক্রবর্তীকে নিয়ে অকপট লোপামুদ্রা মিত্র।
গায়িকা জানালেন, সাড়ে আট বছর তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে গান করেননি নচিকেতা। অনেক বছর আগে একটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে মনোমালিন্যের সূত্রপাত। লোপামুদ্রা বললেন, “একটা অনুষ্ঠান ছিল। ‘নচিকেতা নাইট।’ সেখানে নচিদা, আমার আর মনোময়ের গান গাওয়ার কথা। নচিদা তখন বিরাট জায়গায়। সেই অনুষ্ঠানের দিন নচিদা আমায় বলেছিল, ওর আরও একটি জায়গায় অনুষ্ঠান আছে। তাই ওকে আগে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু আমি সেটা করতে পারিনি। সেই রাগে-অভিমানে নচিদা আমার সঙ্গে সাড়ে আট বছর অনুষ্ঠান করেনি।”
কিন্তু সময়ের সঙ্গে অভিমানের বরফ গলে। নচিকেতা নিজেই লোপামুদ্রার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নেন। গায়িকা বললেন, “নচিদার বোধ হয় মনে হয়েছিল, আমার সঙ্গে সব ঠিক করে নেবে। এ রকম ঘটেছে যে, আমি আর নচিদা একই অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ডাক পেয়েছি। আমি ম্যানেজারকে বলে দিয়েছিলাম, নচিদা আমার সঙ্গে অনুষ্ঠান করবে কি না সেটা জেনে নিতে।” অনুষ্ঠানে নচিকেতা যাতে তাঁর সুবিধা মতো সময়ে গান গাইতে পারেন, সে বিষয়েও সহকারীকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন লোপামুদ্রা।
তাঁর কথায়, “নচিদাকে আমি ভীষণ ভালবাসি। পছন্দ করি। একটি অনুষ্ঠানে ওর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তখন ও আমার সঙ্গে গান করত না। নচিদাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘এই শোনো, তুমি তো নচিকেতা চক্রবর্তী। তুমি লোপামুদ্রার জায়গায় নামছ কেন? তুমি কেন এটা করছ আমার সঙ্গে?’ যাই হোক, ও পালিয়ে গিয়েছিল।”
লোপামুদ্রা জানিয়েছেন, নচিকেতার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে স্বামী জয় সরকারকে কখনও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে বাধা দেননি। প্রিয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল বটে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আফসোস নেই গায়িকার। লোপামুদ্রা মনে করেন, সে দিন নচিকেতাকে আগে ছেড়ে না দিয়ে তিনি কোনও ভুল করেননি। তাঁর কথায়, “আমি যা করেছিলাম, একদম ঠিক করেছিলাম। নচিদা যদি যদি আগে গান করে চলে যেত, তা হলে যাঁরা আয়োজন করেছিলেন, তাঁদের অনুষ্ঠানটি নষ্ট হয়ে যেত।”